গ্ল্যামার গার্ল অন্তি মির্জা অভিনয়ের অভিষেকেই তাক লাগিয়েছেন।
বিনোদন ডেস্ক:
ছড়িয়েছেন মুগ্ধতাও। আরও সুন্দর অভিনয়ের মাধ্যমে বহুদূর যাওয়ার স্বপ্ন তার। গ্ল্যামার গার্ল অন্তি মির্জার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে মডেলিং ও অভিনয়ের। স্বপ্ন পূরণে তিল তিল করে সেভাবেই তৈরি হয়েছেন, এগিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত ফটোশুট ও মডেলিংয়ে সক্রিয় থেকেছেন এ তরুণী।যদিও পড়ালেখা ও পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার এ কাজ কঠিন হলেও শুরুতেই অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ভীষণ সুন্দরী এই অভিনেত্রীর শুরুটা হয়েছে একদমই পারিবারিক ঘরানার একটি নাটকে।
শৈশবের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে অন্তি মির্জার। সম্প্রতি দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘বিবাহ শর্ত’ প্রচারিত হয়েছে। আতিফ আসলাম বাবলু পরিচালিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদি ও রিয়া মনিসহ অনেকেই। পারিবারিক ঘরানার এই নাটকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, নিজের জায়গা থেকে আমি সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কাজটি যখন করছিলাম, তখন কো-আর্টিস্ট এবং আমার ডিরেক্টর যথেষ্ট সাপোর্ট ও হেল্প করেছেন। নাটকটি অন-এয়ারের পর ডিরেক্টর বেশ প্রশংসাও করেছেন। আমিও চেষ্টা করব দর্শকরা আমাকে যেভাবে দেখতে চান, সে চরিত্র এবং সেভাবে কাজ করতে।
প্রথম কাজ প্রসঙ্গে অন্তি মির্জা বলেন, কাজটি নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী ছিলাম। অনেক আগে থেকেই চাচ্ছিলাম সুন্দর একটি চরিত্রের মাধ্যমে পর্দায় অভিষেক হোক আমার। আর সেটাই হয়েছে। আমাকে কেউ কেউ নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু যেহেতু পারিবারিক নাটক আর তাই এই নাটকে পরিবারের সবাইকেই মূল চরিত্রের বলা যায়। এমন একটি চরিত্রেই অভিনয় করেছি আমি।
এদিকে আলোচনার ফাঁকে অন্তি মির্জা তার এই পথচলায় পরিবারের সমর্থনের কথাও জানালেন। তিনি বলেন, পরিবারের সবাই আমাকে শুরু থেকেই সাপোর্ট করেছে। তবে যার কথা না বললেই নয়, তিনি আমার মা। মায়ের উৎসাহ-উদ্দীপনাতেই আমি এগিয়ে চলছি।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের মেয়ে অন্তি মির্জা ইংরেজিতে অনার্স করছেন। সবে মাত্র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত কাজ করতে চান। কাজ করার স্বপ্ন অবশ্যই বড়পর্দায়ও রয়েছে। তবে আপাতত তাড়াহুড়ো নেই। ভালো সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরার পরিকল্পনাই সদ্য কৈশোর পেরোনো এই সুন্দরীর।