বর্তমানে ইউরোপে খেলা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নারী ফুটবলার
স্পোর্টস ডেস্ক:
সাবিত্রা ভান্ডারি। বর্তমানে ইউরোপে খেলা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নারী ফুটবলার। নেপালে যার তারকাখ্যাতি আকাশচুম্বি। রোনালদোকে আইডল মানলেও শিখেন মেসিকে দেখেও। তার চোখে আবার এ অঞ্চলের নারী ফুটবলে রোল মডেল বাংলাদেশের সাবিনা খাতুন।
লবিতে তাকে দেখতেই হোটেল কর্মীদের ছবি তোলার আবদার। হাসিমুখে পূরণও করলেন সাবিত্রা ভান্ডারি। যিনি শুধু নেপাল নয়, নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার হালের বড় তারকা। স্থানীয়দের কাছে পরিচিত সাম্বা নামে।
হিমালয় কন্যাদের হয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলা প্রথম ফুটবলার তিনি। ফেব্রুয়ারি থেকে খেলছেন ফরাসি ক্লাব গিয়াঙ্গমের হয়ে। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ভারতের ক্লাব সেথু এফসি ও গোকুলাম কেরালার হয়ে জিতেছেন লিগ। সাবিত্রা খেলেছেন ইসরায়েলেও।
কিন্তু এশিয়া আর ইউরোপিয়ান ফুটবলের যে বিস্তর ফারাক, তা বুঝেছেন সহজেই।
নেপাল ফুটবলার সাবিত্রা ভান্ডারি বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমার ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলার ইচ্ছে ছিল। কঠিন পরিশ্রম করেছি, ধৈর্য্য ধরেছি, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। ইউরোপিয়ান ফুটবল টেকনিক্যালি, মেন্টালি ও ফিজিক্যালি অনেক এগিয়ে। চেঞ্জিং রুমে অন্যরকম মোটিভেশন থাকে।
এক দশক ধরে খেলছেন নেপালের হয়ে। সাফ অঞ্চলে রেকর্ড ৫৪ গোল সাবিত্রার। সেই তার কাছে, দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে অন্যতম পরাশক্তি বাংলাদেশ। সাবিনাকে দেখেন রোল মডেল হিসেবে।
সাবিত্রা ভান্ডারি আরও বলেন, সাবিনা বাংলাদেশের লিজেন্ড ফুটবলার, তার কোয়ালিটি আছে। সে এ অঞ্চলে একজন রোল মডেল। গোলরক্ষক রূপনা ও তাদের কিছু দারুণ মিডফিল্ডার রয়েছে।
সাবিত্রা ভুলে যাননি গোলাম রাব্বানী ছোটনকে। নিজেই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সাবেক কোচের নাম। নেপালের এ ফুটবলার আরও বলেন, সে দারুণ কোচ। একজন মোটিভেটরও বটে। আমার মনে হয় গেলোবার বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পিছনে সব চেয়ে বড় ভূমিকা তার।
এবারের আসরে কাউকেই এগিয়ে রাখছেন না সাবিত্রা। তার চোখে সেরা চারের সবাই শিরোপার দাবিদার।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আইডল মানলেও, নিজেকে আরও পরিণত করতে দেখেন মেসি, নেইমারদের খেলার ভিডিও।