1. info@dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগমির বাংলা : দৈনিক আগমির বাংলা
  2. info@www.dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগামীর বাংলা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক আগমির বাংলা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
বাংলা সংস্কৃতির পুনর্জাগরণে, ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে, ধ্বনিত হল হাজারো কন্ঠে “বন্দেমাতরম” সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা( ডিবি)পুলিশ এর অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ০৮ রায়পুরায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি কম্পিউটার সনদ সঠিক রয়েছে দাবী করলেন ভেড়ামারা আর্দশ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা রঞ্জু কোলকাতা ইসকনের ৫৪ তম রথযাত্রা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা হিজুলী গ্রামের রাস্তার জমিতে বাঁধ,পানি বন্দী এক হাজার পরিবার জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।ড.আনিসুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ বিভাগে অলিম্পিক ডে উদযাপন গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ও অর্থ আত্মসাতের তদন্ত

মধুপুরে মানুষ বিক্রির হাটে ক্রেতা কম থাকায় বাড়ি ফিরছে অনেকে

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

মধুপুরে মানুষ বিক্রির হাটে ক্রেতা কম থাকায় বাড়ি ফিরছে অনেকে

 

 

মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরে দীর্ঘদিন যাবত বসে আসছে মানুষ কেনা-বেচার হাট। বিশেষ করে বোরো আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপণ ও ধানকাটার সময় মধুপুর আনারস চত্বরে দেখা যায় শ্রম বিক্রি মানুষের উপচে পড়া ভীড়। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে দলেদলে জড়ো হতে থাকে শ্রম বিক্রি করতে আসা মানুষ গুলো ।

ধান কাটা মৌসুমে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা দিনমজুরদের জমজমাট শ্রমিক হাট বসে মধুপুরের এই আনারস চত্বরে। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে শ্রমিক বেচাকেনা। ভোরে না খেয়ে আসা শ্রমজীবি মানুষের জন্য সুস্বাদু হালুয়া রুটির ব্যবস্থা রেখেছেন এক ভ্রাম্যমান দোকানী। প্রতি রুটি হালুয়া সহ দাম ৬০ টাকা তবে তা কেটে ১০ টাকা করেও বিক্রি করেন তিনি।

এখানে পণ্যের মতো একজন মানুষের সারাদিনের শ্রম কেনাবেচা হয় দর-কষাকষি করে। এই শ্রম বিক্রির হাটে শ্রমিকরা যেমন শ্রম বিক্রি করতে আসেন, ঠিক তেমন ক্রয় করতেও আসেন স্থানীয় গৃহস্থরা। বর্তমান সময়ে প্রতিটি শ্রমিক সারাদিনের জন্য কেনা-বেচা হচ্ছে ৫শো থেকে ৬শো টাকায়।

ভোর ৫টা থেকে আসা শ্রম বিক্রি করা মানুষ গুলো অপেক্ষা করতে থাকেন কখন শ্রমক্রেতা আসবেন আর দরদাম করে শ্রম বিক্রি করতে পারবেন। শ্রমক্রেতা আসা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। কে কার আগে দরদাম করে শ্রম বিক্রি করবেন শুরু হয় তার প্রতিযোগিতা। শ্রমক্রেতারা তাদের পছন্দমতো দরদাম করে দিনমজুরদের কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এ শ্রম বিক্রির হাটে কম বয়সী দিনমজুরের চাহিদা বেশি কারণ, তারা বেশি শ্রম দিতে পারবেন।

দিনমজুর সাদেক আলীর বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জ এলাকায়। তিনি সহ একই এলাকার ৩জন শ্রম বিক্রি করেছেন কুড়ালিয়া বাগবাড়ি এলাকার অনেক পুরনো সফল গৃহস্থ আব্দুল হাকিমের বাড়িতে। তিনি জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার চলে তার শ্রম বিক্রির টাকায়। মাঝে মধ্যে কাজ না পেলে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যায়।

মধুপুর বানুরগাছি এলাকার মজিদ মিয়া জানান, সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ছয়শো টাকা মজুরি পেয়ে অর্ধেক বাজারও করতে পারিনা। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের শ্রমের দাম বাড়েনি। সারাদিন কাজ করে যে মজুরি পাই তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা।

বোরো ধানকাটা প্রায় শেষের দিকে তাই শতশত শ্রম বিক্রি মানুষের মধ্যে অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© দৈনিক আগমির বাংলা
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট