১৫টি খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
(নিউজ ডেস্ক)
কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের ১৫টি খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন দুই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক ও কৃষাণীরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দুই ইউনিয়নের কৃষক।
মানববন্ধনের স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড: ‘খাল উন্মুক্ত করো’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
•প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল:
“আর দিব না খালের বাঁধ, কৃষি করব বারো মাস।”
“খাল উন্মুক্ত করণের অঙ্গীকার করি, এলাকার উন্নয়নে অংশ নিন।”
“খাল হোক সকলের জন্য উন্মুক্ত।”
“যার যার বাঁধ দখল মুক্ত করি, সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়ি।”
•সংগঠন ও নেতৃত্ব
মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করে লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের খালগুলোর মিঠাপানি ব্যবহারে সচেতনকরণ বাস্তবায়ন কমিটি। আয়োজনে সহযোগিতা করে স্থানীয় সংগঠন সিবিও গোলাপ ও সিঁড়ি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষক মাওলানা হাবিবুর রহমান।
•বক্তাদের অভিযোগ ও বক্তব্য:
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিঁড়ি’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট চান চান সওদাগর, গোলাপ প্রতিবন্ধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আকন এবং অন্যান্য কৃষক ও কৃষাণীরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ধুলাসার ইউনিয়নের কাচারীখাল, দাসখালীখাল, খেসারীখাল, বাদামখালী খাল, ধোরাখাল, হেতালবুনিয়া খাল, এবং ভাঙা খালসহ সাতটি খাল এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের সিক্রিখাল, লক্ষ্মী খাল, পূর্ব দিয়ারআমখোলা খাল, থনজুপাড়া খাল, তুলাতলী খালসহ আটটি খাল স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে।
•কৃষিকাজে সংকট:
বক্তারা জানান, খাল দখলের কারণে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের ৪,০০০ পরিবার মিঠাপানি সংকটে ভুগছেন। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা এবং শীত ও গ্রীষ্মকালে পানির অভাবে প্রায় ১,০০০ একরের বেশি জমি চাষাবাদের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
•স্মারকলিপি প্রদান:
সমাবেশ শেষে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খালের বাঁধ অপসারণের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, দাবি উপেক্ষিত হলে তারা আরও বড় পরিসরে আন্দোলনে নামবেন।
•উপজেলা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
•সচেতন মহলের মতামত:
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, খালগুলো উন্মুক্ত হলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত