কালিয়া ইএনও’র প্রটোকলে যাত্রী ভোগান্তি, সংবাদটি ভিত্তিহীন ও দূরভিসন্ধিময়।

শেখ ফসিয়ার রহমান নড়াইল প্রতিনিধি!!

নড়াইলের কালিয়া ফেরী পারাপারে ইউএনও’র ভিআইপি পেটোকলে সাধারাণ মানুষের ভোগান্তি শিরোনামে ২২ ডিসেম্বর দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভিআইপি প্রটোকলে  ইউএনও মোঃ রাশেদুজ্জামান ফোন দিয়ে কয়েক ঘন্টা ফেরী আটকে রেখে তারপর তিনি ফেরী পার হন।যার কারনে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ ভোগান্তি শিকার হন।বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে বলে কালিয়া প্রেসক্লাব ও প্রেস ক্লাব কালিয়ার সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে প্রতিয়মান হয়।

সত্য ঘটনা জানতে  ২৪ ডিসেম্বর থেকে পর পর ২ দিন ওই ফেরিতে পার হওয়া কথিত ঘটনার দিন উল্লেখিত সময়ে পারাপার হওয়া কিছু যাত্রীদের খুঁজে তাদের স্বাক্ষাত কার গ্রহণ করা হয় এবং  সরেজমিনে সরাসরি ফেরীতে গেলে বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে অভিমত প্রকাশ করেন যাত্রী সাধারণ ও ফেরীর ড্রাইভার হানিফ মিয়া।

এসময় হানিফ মিয়া বলেন যে যিনি এই মিথ্যা তথ্য  দিয়ে ইউ,এন,ও মোঃ রাশেদুজ্জামানের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। ওই রিপোর্টারের সাথে তার কোন কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফেরী চালক হানিফ মিয়া ও অন্যান্য ষ্ট্যাফেরা বলেন,সকাল ৯টা ১০ শুরু হয় ফেরী চলাচল। কালিয়ার পারে আসে জোর টাইমে কালিয়া পাড় থেকে বেজোড় টাইমে ছেড়ে যায় কালিয়ার ঐপাড়ে। এ নিয়মেই ফেরী চলাচল করে থাকে। অনেক সময় অনেক কে বিশেষ প্রয়োজনে দ্রুত পার করে দেওয়া হয়। সে হিসাবে বেলা ২ টায় ঐপার থেকে ৩ টায় কালিয়ার পারে আসার কথা ফেরীটি সেখানে ইউএনও কে নিয়ে ফেরীটি কালিয়া পাড়ে এসেছে ৩টা ১৭ মিনিটে। তাতে বিলম্ব হয়েছে ১৭ মিনিট,  এতটুকু সময় নদী পাড়ি দিতে  বিলম্ব হতেই পারে তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বোধগোম্য নয়।

কালিয়া পৌর এলকার বাসিন্দা নজরুল শেখ রবিউল শেখ, উজ্জ্বল, দেওয়া ডাঙ্গা গ্রামের খবিবুর মোল্লা রাম নগরের পরিতোষ বিশ্বাস, সহ একাধিক যাত্রীরা জানান, কালিয়া ফেরীতে সাধারণ মানুষের কোন দুর্ভোগ আমাদের চোখে পড়েনি। এ ছাড়া এ ফেরীর মাধ্যমে জেলা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের কল্যানেই বিভিন্ন স্পটে যাতায়াত করেন। সে ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ১০/২০ মিনিট দেরী হতেই পারে। এতে ভোগান্তির তেমন কিছু আমরা মনে করিনা। কারণ তারা আমাদের প্রয়োজনেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ইউএনও'র নামে যে নিউজটি করা হয়েছে এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ভিত্তিহীন নিউজ বলে তারা মন্তব্য করেন। কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন আমি ফেরির কাওকে আমাকে পার করার জন্য কোন রুপ ফোন করি নাই।  আপনারা জাতির দর্পণ আপনাদের নিকট থেকে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রত্যাশা করা।