পরকীয়ায় নড়াইলে নারী ইউ,পি সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার।
শেখ ফসিয়ার রহমান নড়াইল জেলা প্রতিনিধি !!
নড়াইলের সদর থানাধীন ১নং মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সাধনা মল্লিক নামের এক মহিলা সদস্য গত ২৪ ডিসেম্বর বিকাল অনুমান ৪, ৩০ ঘটিকার হতে সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকা পর্যন্ত মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে তার বন্ধু রাজিবুলের সাথে ভিকটিমের বান্ধবি সাহিদা বেগম, স্বামী- মুক্তার মোল্যা এর বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান করে, অতপর সাহিদার পাশ্ববর্তী বাড়ীর ১। ফারুক, ২। চঞ্চল ৩। শফিকুল, ৪। কিবরিয়া , সর্ব থানা ও জেলা-নড়াইলগণ সাহিদা বেগমের বাড়ীতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে ঘরের মধ্যে কে আছে। তখন ভিকটিম দরজা খুলে দেয়। তারা বলে তোমার সঙ্গে আর কে আছে তখন বাসনা বলে কেউ নেই। এরই মধ্যে রজিবুল তাদের সমনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারপর ফারুক, চঞ্চল, শফিকুল, কিবরিয়া ভিকটিমকে ঘরের মধ্যে থেকে ধরে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ঐদিন রাত্রে ভিকটিম নিজ বাড়ীতে বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য ধলগ্রাম বাজারে নিয়ে পল্লী চিকিৎসকদ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিসার জন্য ২৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টা ৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন বিষ পান করেছে মর্মে অবহিত করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিম চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার ছেলের নিকট সকল অপরাধীদের নাম ও ঘটনা বলেছে মর্মে সাংবাদিকদের নিকট সাধনা মল্লিকের পরিবার থেকে জানানো হয়, ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় সে মৃত্যুবরণ করে। ভিকটিমের মৃত্যু সংক্রান্তে নাম-ঠিকানা যাচাই ও বিষপানের কারণ সংক্রান্তে যশোর কোতয়ালী থানা হতে বেতার বার্তায় নড়াইল সদর থানাকে অবহিত করেন।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’ জোর নির্দেশনা দেন সেই মোতাবেক অত্র এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেসন সেলের এস,আই, আলী হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ২৮ডিসেম্বর (শনিবার) অত্র ঘটনার মূল হোতা মোঃ ফারুক মোল্লা(৫০), পিতা- মোঃ ওসমান মোল্লা, সাং- দৌলতপুর, থানা ও জেলা- নড়াইলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। #
শেখ ফসিয়ার রহমান।