পটিয়া উপজেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি, কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় সমস্যা।
পটিয়া উপজেলা প্রতিনিধি:
মধ্য পৌষে জেঁকে বসেছে শীত। দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য বেড়েছে, এবং প্রকৃতিতে বইছে হিমেল হাওয়া। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলাতেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
এই শীতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ ফসলের উপর শীতের প্রভাব পড়ছে। পটিয়ার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে গাছের চারপাশে আগুন জ্বালিয়ে বসে থাকছেন, তবে তীব্র শীতের কারণে ধানের ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কিছুটা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষকরা জানান, শীতের প্রভাব বীজ বপন, চারা রোপণ এবং গাছের বৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় নানা সমস্যা তৈরি করছে।
এদিকে, শীতের প্রকোপ বাড়ায় পটিয়া উপজেলায় মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা ঠান্ডায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি, কাশি, গলাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বেশী দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং শীতজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্ক রয়েছেন।
পটিয়া উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়দের জন্য শীতবস্ত্র সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কম্বল ও গরম পোশাক বিতরণ করা হচ্ছে, এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুদের শীতের পোশাক পরিধান নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন পর এমন তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে কষ্ট সৃষ্টি করছে। কৃষক, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ শীতের কারণে বাইরে কাজ করতে পারছেন না, ফলে তাদের আয়ের উপায়ও কিছুটা সংকুচিত হয়েছে।
এছাড়া, উপজেলায় যাতায়াত ব্যবস্থা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কারণ ভোরবেলা কুয়াশা এবং শীতের কারণে সড়কপথে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তবে, পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে শীতজনিত দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই অবস্থায় পটিয়া উপজেলা বাসীকে আরো সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতে পারেন।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত