পৃথক পৃথক ঘটনায় সরিষাবাড়ীতে তিন জনের মৃত্যু
সরিষাবাড়ী(জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ, শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ও ফাঁসিতে ঝুলে পৃথক পৃথক স্থানে একজন করে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বে কৃষক আব্দুস সামাদের ধান ক্ষেতে, কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া গ্রামে,পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা, এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মুসুদ্দি ইউনিয়নের ঝোকনা গ্রামের চা দোকানদার মোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে মমিনুল ইসলাম মমিন, কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া গ্রামের পেঁচা মন্ডল এর ছেলে মোস্তফা মন্ডল, পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের আসাদুল ইসলাম এর ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তামিম মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধনবাড়ি মুশুদ্দি এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মমিন। বুধবার বিকালে মমিন ও তার ছোটবোন মেঘলা সরিষাবাড়ির উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল চর গ্রামে নানা মোহাম্মদ আলীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে। সন্ধ্যার পর রাতের খাবার খেয়ে নানার সাথে মুশুদ্দি মাজার ওরস শরীফে বেড়াতে যায়। ওরস শরীফে বেড়ানোর সময় মুমিনকে হারিয়ে ফেলে নানা। পরে নানা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে বাড়ী চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে মমিনের মরদেহ ধানক্ষেতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ি থানার এসআই বদরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
অপরদিকে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া এলাকায় ধান ক্ষেতে পানি সেচ দিতে গিয়ে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মোস্তফা মন্ডল (৪২) নামে এক কৃষকের মারা যায়।
নিহত কৃষক মোস্তফা মন্ডল উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের মৃত পেঁচা মন্ডলের ছেলে। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর পাশে ধান ক্ষেতে পানি দিতে সেচপাম্প চালু করতে যায়। এসময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে ধানক্ষেতে পড়ে থাকেন। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়াও পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা পূর্বপাড়া গ্রামের আসাদুল হক এর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তামিম নামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।