নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত
বিশেষ প্রতিনিধি নীলফামারী :
নীলফামারীতে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তৃতীয় বারের মতো বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত হয়েছে । রবিবার বিকেলে নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ টি পালিত হয়। এসময় উক্ত মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ জেলার সকল স্কুল কলেজ হাসপাতাল ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারসহ সব রাজনৈতিক দল এবং শ্রেণী পেশার মানুষ। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দেশের ৬ টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে আমাদের নীলফামারীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টি সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত এবং রাজশাহী মেডিকেল ইউনিভার্সিটির অধীনে থাকা যেসব মেডিকেল কলেজ আছে তার মধ্যে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টির শিক্ষার মান অনেক ভালো এবং এটি ২০২৩/২০২৪ সালে পরপর ২ বার প্রথম স্হান অর্জন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে। তাই এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টি যদি বন্ধ ঘোষণা করা হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোর তম অবস্হান কর্মসুচি দিতে বাধ্য হব । এসময় তারা আরো বলেন আমরা যখন প্রথম মানববন্ধন করি তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি ঘোষণা পত্রে বলেন সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হওয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোর মান তেমন ভালো না হওয়ায় আমরা এসব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্য থেকে ৫০০ শয্য হাসপাতালে উন্নতি করা হবে।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা বলেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যদি বন্ধ করা হয় তাহলে নীলফামারী বাসী চুপ করে বসে থাকবে না নীলফামারীর মানুষের ভদ্রতার সম্মান করুন একবার যদি আমরা নীলফামারী বাসি জেগে উঠে তাহলে কিন্তু ভালো হবে না, এখন শুধু আপনারা নীলফামারী বাসির মানববন্ধনের ট্রেইলার দেখেছেন তাই আমরা বলতে চাই আমরা জেগে ওঠার আপনার আপনাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাড়ান না হলে পরিস্থিতি কিন্তু ভালো হবে না তারা আরো বলেন আজকের পর থেকে যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না দাড়ান তাহলে নীলফামারী থেকে পুরো বাংলাদেশের সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে এসময় বিক্ষোভ কারী রাস্তায় টায়ার জালিয়ে নীলফামারী প্রবেশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দিলে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীর ৩ টি টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়ে চলে যায়।