1. info@dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগমির বাংলা : দৈনিক আগমির বাংলা
  2. info@www.dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগামীর বাংলা :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক আগমির বাংলা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
সিলেটে আস-সুন্নাহ’র “সবার জন্য কুরবানী প্রকল্প-২০২৫” সারা দেশে স্বারম্বরে পালিত হল ঈদ উৎসব, অন্যদিকে ছুটি থাকায় জনবহুল মার্কেটগুলো শুনশান। মিরপুরে ভাটা মালিক ও মৎস্য চাষী কাউসার হোসেনের গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে দিল দুর্বৃত্তরা। সিলেটে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের “সবার জন্য কুরবানী প্রকল্প-২০২৫” দক্ষিণ গফরগাঁওয়ের লংগাইর উঠিয়া বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত রাত পোহালেই ঈদ উৎসব, তাই শেষ দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটায়। পোশাকের মার্কেট থেকে পশুর মার্কেটে। বিজেপি ও তাদের নেতারা, মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিত মন্তব্য করায়, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস মিছিল করলেন। কবিতা হৃদয়ে জাগে সুখ কবি তাছলিমা আক্তার মুক্তা কলকাতা পৌর সংস্থার উদ্যোগে পালিত হল , বিশ্ব পরিবেশ দিবস…। কবিতা পিতৃ ভিটে কবি তাছলিমা আক্তার মুক্তা

পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর আতঙ্ক আর বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর আতঙ্ক আর বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ

বিশেষ প্রতিনিধি:
পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহতা পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের মতো চূড়ান্ত পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর হতাশা ও উদ্বেগে ।

মানব সভ্যতা আজ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকায় কম্পমান। সারাবিশ্বে যুদ্ধবাজদের যুদ্ধ প্রস্তুতি সাধারন নিরীহ মানুষদের আতংকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর হাতে ভয়ানক সব মারণাস্ত্র সারা বিশ্বে মজুদ আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বিস্ফোরণের চেয়ে দশ হাজার গুণ বেশি বিস্ফোরক। আণবিক বোমার চেয়ে চার প্রজারগুণ শক্তিশালী বোমার সংখ্যা এখন পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার। যুদ্ধ এখন জল ও স্থলের সীমানা ছাড়িয়ে আকাশে, গ্রহে ও উপগ্রহে। রাডারকে ফাঁকি দিয়ে মানুষ এখন উপগ্রহ, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গোয়েন্দাগিরি চালায়। দূরপাল্লার মিসাইল, আণবিক যুদ্ধজাহাজ, ভয়ংকর সব যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত সভ্যতাকে ধবংসের জন্য। একটি মাত্র সুইচ টিপ দিলে কয়েক হাজার মাইল দূরের একটি সভ্যতা নিমিষেই ধুলিসাৎ হয়ে যেতে পারে।জুলাই,

১৯৪৫ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মোট দুই হাজারবারেরও বেশি পারমাণবিক বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে এবং এগুলোর অর্ধেকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই দায়ী। পিলে চমকে দেয়ার মতো তথ্য হলেও সত্যিকার অর্থেই পারমাণবিক বোমার বিষ্ফোরণের শক্তি পরীক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত ৮টি দেশ মোট ২০৫৬ বার পারমাণবিক বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে।

যে ৮টি দেশ বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী বলে জানা যায় সেগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা সংস্থার হিসাব মতে, ২০১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত এই ৮টি দেশের অধীনে মোট ১৩ হাজার ৮৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, এই অস্ত্রগুলোর ৯০ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দখলে।

লিটবয়
হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমটির নাম “লিটল বয়”। নিজেদের প্রয়োজনে এটি নিক্ষেপের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। তিনি ছিলেন আকারে ছোট তাই তার নাম দেয়া হয় “লিটল বয়”। কিন্তু বোমা হামলা নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যান। বোমা বহনকারী বিমানটি ছিল বোয়িং বি-29 Superfortress Enola গে , আর সেই বিমানের পাইলট ছিলেন কর্নেল পল । আর হামলা পরিচালনা করেন Tibbets এর 393rd বমবার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন, ভারি অফ, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বিমান বাহিনী । এটি ছিল প্রথম আণবিক বোমা যা অস্ত্র হিসাবে হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

৬ আগষ্ট,১৯৪৫, হিরোশিমা
হিরোশিমা শহরটি জাপানের রাজধানী টোকিও শহর থেকে ৫০০ মাইল দূরে। ৬ আগষ্ট সকাল বেলা তখনো হিরোশিমা জনপথ কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেনি, জীবিকার সন্ধ্যানে কিছু মানুষ ছুটে চলছিল। সকাল ৮.১৫ । হঠাৎ হিরোশিমা শহরের আকাশে দেখা দিলো দৈত্য বিমান বি-২৯ ইনোলো গে । হিরোশিমা নগরীর উপরে ছুড়ে মারলো আনবিক বোমা “লিটল বয়”। মূহুর্তের মাঝে সব কিছু লন্ড ভন্ড হয়ে গেল। ধ্বংস লীলায় পরিনত হলো গোটা শহর।
হিরোশিমায় বোমা বিস্ফোরনের স্থানটি ছিল বানিজ্যিক ও অফিস আদালতের স্থান। বিষ্ফোরনের সাথে সাথে ৫০০ মিটার বৃত্তের মাঝে আলীশান দালান চোখের পলকে নেতিয়ে পড়ে। ৫ বর্গমাইল এলাকা ছাই ও ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়। বিস্ফোরনের সময় নগরীতে লোকসংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৫০ হাজার। যার মাঝে সেই সময় থেকে ১০ আগষ্ট পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৬১ জন। যার মাঝে সামরিক লোক মৃত্যুবরন করে প্রায় ২০,০০০ জন।
৯ আগষ্ট, ১৯৪৫, নাগাসাকি
জাপানের আরেকটি ব্যস্ত শহর নাগাসাকি। স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৪৭মিনিট। নগরীর সবাই তখন গভীর ঘুমে বিভোর। সেই ঘুম থেকে অনেকেই চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছে। হিরোশিমার পুনরাবৃত্তি হলো নাগাসাকিতে। নিক্ষিপ্ত হলো আনবিক বোমা” ফ্যাটম্যান”। নিমিশেই ঘুমন্ত নগরীকে পরিনত করলো মৃত্যু নগরীতে
আগস্ট 9, 1945 তারিখে, নাগাসাকিতে ছিল পারমাণবিক বোমা হামলা দ্বিতীয় লক্ষ্য । আনুমানিক ৪০,০০০ মানুষ বোমা হামলায় নিহত হয়েছে । পাশাপাশি ৭৪,৯০৯ আহত এবং অন্য কয়েক শো হাজার বিপর্যয় এবং অন্যান্য অসুস্থতা বিকিরণ দ্বারা ফলে অসুস্থ এবং মারা যায়। এই বোমা ছিল “লিটল বয়”থেকেও বেশি ধ্বংসাত্মক । কিন্তু হিরোশিমার মতো বানিজ্যিক এলাকায় না ফেলে ফেলা হয় একটি উপত্যকায়। তবুও ক্ষতি ছিল একই পরিমাণ ।
যুদ্ধ মানেই ধ্বংস। যুদ্ধ মানেই দুর্ভিক্ষ, উপবাস, মৃত্যু। যুদ্ধ মানেই রক্তের হোলিখেলা, লাশের স্তূপ ও সাভার বিনাশ। পৃথিবীবাসী দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ফলে ধ্বংস, মুক্ত, মহামন্বন্তরের রক্তাক্ত আস্বাদ পেয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে তা হবে আরও ভয়াবহ। মানুষ আজ প্রতিবাদমুখর যুদ্ধবাজ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ঘৃণ্য চক্রান্ত রুখতে। যুদ্ধের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ববাসী আজ প্রতিরোধী সৈনিক, শান্তির জাগ্রত প্রহরী। তাই যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ব আজ সোচ্চার, শান্তির পক্ষে পালন করছে অগ্রণী ভূমিকা। বিশ্বজুড়ে মানুষের সম্মিলিত শুভবুদ্ধির প্রতিরোধমূলক তৎপরতায় যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আজ প্রতিহত, নিষ্ক্রিয় হতে চলেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© দৈনিক আগমির বাংলা
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট