জয়পুরহাটে পানামা রোগে উজার হচ্ছে সর্বাধিক পুষ্টিগুন ও স্বাদের সবরি কলার জাত
জয়পুরহাট প্রতিনিধি-, মোঃ মাফিজুল ইসলাম:
জয়পুরহাটের মাটিতে প্রতি বছর সব ধরনের কলারও বাম্পার ফলন হলেও হালে গাছ ফাটা ও পচন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনুপাম বা সবরি বা মানিক কলা ক্ষেতগুলো। ফলে সুস্বাদু ও পুষ্টিমানে সেরা হলেও চিকিৎসার অভাবে এ জাতের কলা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার কলাচাষীরা।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি---এর রিপোর্ট, মোঃ মাফিজুল ইসলাম জানাচ্ছেন----------------
ভিওঃ সকল ফসলের উপযোগী জয়পুরহাটের মাটি উর্বর মাটিতে সব ধরনের ফসলের পাশাপাশি সকল জাতের কলারও ভালো চাষ হয় এ জেলায়। অনাদীকাল থেকে অনুপাম বা সবরি বা মানিক ছাড়াও সাগর, চাপা, বাংলা, ও কাঁচা কলাসহ নানা জাতের কলার চাষ করেন এখানকার চাষীরা। জেলা কৃষি বিভােেগর তথ্য মতে এ জেলায় এবার কলা চাষ হচ্ছে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সব চেয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরপুর হওয়ায় দাম বেশী অনুপাম বা সবরি বা মানিক কলার। স্বাভাবিক কারনে এ জাতের কলা চাষে আগ্রহ থাকার কথা থাকলেও গেল ২/৩ বছর থেকে মারত্মক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে গাছ ফাটা ও মাজা পচা রোগে। চিকিৎসার সকল উপায় অবলম্বনেও ফল না পাওয়ায় এ জাতের কলা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কলাচাষীরা।
ভক্সপপ-০১ঃ কলাচাষী-২ জন।
ভিওঃ এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের সহযোগীতা পর্যাপ্ত না হলেও মাঠ পর্যায়ের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়েও সবরি কলার ক্ষেত থেকে রোগ-বালাই নির্মূল করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষকদের নিজেদের অভিজ্ঞতাও কাজে আসছে না বলে মূল্যবান এ জাতের কলা রক্ষা করতে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির সহযোগীতা চাইলেনঅসহায় কলা চাষীরা।
ভক্সপপ-০২ ঃকলা চাষী-২ জন।
ভিওঃ কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এ বছর জেলায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হচ্ছে এরমধ্যে মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে সবরি বা মানিক বা অনুমপাম জাতের কলার চাষ হচ্ছে। ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমনের কথা স্বীকার করে কৃষি বিভাগ এ কলা গাছের এর ব্যাধিকে “পানামা” রোগ বলে চিহ্নিত করেছে। সেই সাথে সাবধানতা অবলম্বন না করলে এ রোগ নিরাময় না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে কৃষকদের পরামর্শের কথা বললেন স্থানীয় কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
সটঃ কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন, উপ-পরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততর জয়পুরহাট।
পে-অফঃ- এক দিকে ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম, অন্যদিকে রোগ-বালাইয়ের কারনে জয়পুরহাটে সবরি বা অনুপাম বা মানিক কলার চাষ কমে যাচ্ছে তাই দাম অনেক চড়া। আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাবে কয়েকগুন। তাই দ্রæত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী কলাচাষী ও ভোক্তাদের।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত