ভারতে নতুন করে শনাক্ত হলো কোভিড-১৯ উপধরন NB.1.8.1 এবং LF.7
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ওষুধ ও টেস্ট কিট পর্যাপ্ত, হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১৫৬ জন বাড়লে অতিরিক্ত প্রস্তুতি রয়েছে
ভারতে কোভিড-১৯ এর দুটি নতুন উপধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে — NB.1.8.1 এবং LF.7। ভারতীয় সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG)-এর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ুতে NB.1.8.1-এর একটি এবং মে মাসে গুজরাটে LF.7-এর চারটি কেস শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) উভয় ভ্যারিয়েন্টকেই ‘পর্যবেক্ষণাধীন ভ্যারিয়েন্ট’ (Variants Under Monitoring) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। যদিও এগুলোকে এখনও ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি, তবুও চীনসহ এশিয়ার কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এই ভ্যারিয়েন্টগুলোর প্রভাব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে JN.1, যা পরীক্ষিত নমুনার ৫৩% জুড়ে রয়েছে। এর পরে রয়েছে BA.2 (২৬%) এবং অন্যান্য ওমিক্রন উপধরন (২০%)।
NB.1.8.1 উপধরনকে WHO বৈশ্বিকভাবে স্বল্প-ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করলেও, এর স্পাইক প্রোটিনে থাকা A435S, V445H, এবং T478I মিউটেশনগুলোর কারণে এটি বেশি সংক্রামক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে সক্ষম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ICMR, NCDC এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
যদিও জাতীয়ভাবে সংক্রমণের হার কম, তবুও কিছু রাজ্যে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিল্লি: ২৩টি নতুন কেস
অন্ধ্রপ্রদেশ: ৪টি
তেলেঙ্গানা: ১টি
বেঙ্গালুরু: ৯ মাস বয়সী এক শিশু আক্রান্ত
কেরালা: মে মাসে ২৭৩টি কেস
মহারাষ্ট্রের থানে শহরে তিন দিনে ১০টি নতুন কেস ধরা পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে থানে পৌর কর্পোরেশন (TMC) হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলেছে। আক্রান্তদের সবাই হালকা উপসর্গযুক্ত এবং বাড়িতেই চিকিৎসাধীন।
TMC কমিশনার সোরভ রাও জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কালওয়ার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ হাসপাতালে ১৯ শয্যার একটি আলাদা কোভিড ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেখানে RT-PCR টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. চেতনা নিটিল নিশ্চিত করেছেন, ওষুধ ও টেস্টিং কিট পর্যাপ্ত রয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অনিরুদ্ধ মালগাঁওকর জানান, হাসপাতালে ভর্তি বাড়লে অতিরিক্ত ব্যবস্থাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
TMC আশ্বস্ত করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং নিয়মিত নজরদারিতে রয়েছে।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত