সরিষাবাড়ীতে রাইস মিল ও বসত-বাড়িতে হামলা: ভাংচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক রাইস মিল ও সংলগ্ন বসতবাড়িতে হামলা ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে রাইস মিলের টিনের দরজা রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতি সাধন এবং মিলের রক্ষিত ধান- চাল সহ ঘরের ষ্টিলের আলমারী থেকে নগদ অর্থ লুটে নেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া পক্ষ দাবি করেছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৪ মে) রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা সশস্ত্র অবস্থায় রাইস মিলটিতে টিনের দরজা কুপিয়ে ও তালা ভেঙ্গে মিলে প্রবেশ করে ৩০ মন ধান, ১০ মন চাল লুট এবং পরবর্তীতে মিল মালিকের বসত-বাড়িতেও হামলা চালায় এবং সোহাগ মিয়া বাড়ীতে না থাকায় তার স্ত্রী শিউলী বেগমের মুখে কাপড় চেপে ধরে নানা ভয়-ভিতী দেখিয়ে ষ্টিলের আলমারী ভাংচুর ও তছনছ করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা , কানের ঝুমকা, গলার চেইন সহ ১ ভরি স্বর্ণঅলংকার সোহাগ মিয়ার ছোট ভাই সোহেল মিয়া’র নেতৃত্বে তার ভাড়াটিয়া আব্দুল জলিল, গাজিয়ার রহমান, সুলতান সহ ১০/১৫ জন মিলে লুট করে নিয়ে যায় বলে শিউলী বেগম অভিযোগ করেন।
মিল মালিক সোহাগ মিয়া জানান, আমি বাড়ীতে না থাকার সুবাদে হঠাৎ হামলা চালিয়ে মিলের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ৩০ মন ধান, ১০ মন চাল, ঘরে থাকা স্বর্ণঅলংকার ও দেড় লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।"
এ ঘটনার খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশের এস আই ফখরুল সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। তবে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
এ হামলার পেছনে পূর্ব শত্রুতা হিসেবে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমান এর স্ত্রী রহিমা বেওয়া কে রেখে মারা যান। সম্প্রতি রহিমা বেওয়ার বড় ছেলে সোহাগ মিয়ার মা রহিমা কে ভরন পোষন না দেওয়ার অভিযোগ এনে সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি রহিমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলা নিষ্পত্তির লক্ষে মামলার স্বাক্ষী গাজীয়ার রহমান, আব্দুল জলিল, সুলতান কে শনিবার সকালে আপোষ করে দেওয়ার কথা বললে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গাজীয়ার রহমান এর চায়ের দোকানের মালামাল নিজেরাই ফেলে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী শিউলী বাদী হয়ে সোহেল মিয়া বিবাদী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে এবং গাজীয়ার রহমান বাদী হয়ে সোহাগ মিয়াকে বিবাদী করে এবং সোহেল রানা তার বড় ভাই সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে পক্ষদ্বয় পৃথক পৃথক তিনটি অভিযোগ সরিষাবাড়ী থানায় দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ) বলেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।"
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত