ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরামের উদ্যোগে, ন্যায্য বিচার ও অধিকারের দাবীতে ধিক্কার মিছিল ও পথসভা।
রিপোর্টার,সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ
আজ ১০ই জুন মঙ্গলবার, দুপুর ১২ টায় , মৌলালি মাজারের সামনে, ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম এর উদ্যোগে, যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জমায়েত হন, কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকা মৌলালি মাজারের সামনের দিকে মিছিল করে শহীদ মিনার পর্যন্ত আশার পথসভা করলেন।
কিন্তু মৌলালি থেকে মিছিল যখন এস এন ব্যানার্জী রোড ধরে ধর্মতলার কাছাকাছি আসেন, ঠিক তার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে কলকাতা পৌরসভার সামনে রাস্তা আটকে দেয়া এবং তাদেরকে পৌরসভার পাশে জমায়েত করেন।, আজ এই মিছিলের মধ্য দিয়ে ধিক্কার জানান এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে এবং তাদের স্কুলে যাওয়ার দাবী নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ডেপুটেশন দেন এবং বিকাশ ভবনেও ডেপুটেশন দেন। দিলে উপস্থিত ছিলেন সৌমেন সামন্ত ও কমলেশ কপাট সহ অন্যান্যরা, তারা বলেন আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম শহীদ মিনারের দিকে কিন্তু প্রশাসনের লোক আমাদেরকে জোর করে আটকে রেখে দিয়েছে। যেতে দেওয়া হচ্ছে না শহীদ মিনার পর্যন্ত।
তাহারা বলেন ডব্লিউ বি সি এস এস সি পড়তি পরিচালিত ফাস্ট এস এল এস টি ২০১৬ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত( ix,x,xi, xii ) এর শিক্ষক শিক্ষিকারদের স্কুলে যোগদানের এবং সমস্ত সুবিধা সহ আসন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিলেন। আর ভিত্তিতে আমরা স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিলাম।
বিভিন্ন স্কুলে ছ বছর ছ মাসের বেশি কর্মরত ছিলাম এবং সততার সহিত শিক্ষাদান করে এসেছি। গত তিসরা এপ্রিল ২০২৫ সুপ্রিম কোর্টের ঘোষিত রায় অনুসারে ফাস্ট এস এল এস টি ২০১৬ এর সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ এর আদেশ অনুসারে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৩১-১২.২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে পড়ানোর এবং বেতন প্রাপ্তির অনুমতি প্রদান করেন।
ডাবলু বি এস এস সি এবং ডব্লু বি বি এস ই আমাদের ১৫৮০ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে কোন কারন ছাড়াই ইস্কুলে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি। গত ১লা এপ্রিল থেকে আমাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা আর্থিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
তাহারা বলেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রদেয় কোন নথির দ্বারা আমরা টেনটেড প্রমাণিত নয়, ও এম আর গরমিল বিষয়ে যুক্তিগ্রাহ্য কোন নথি বা প্রমান মাননীয় বিচারপতির দ্বারা গ্রাহ্য হয়নি।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময় তাদের হলফনামায় ও এম আর গরমিলের তথ্য প্রদান করছে সিবিআই এর রিপোর্ট অনুসারে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ট্রন্টেড এবং আনটেনটেড বিভাজন করতে পারেননি,
তাই ১৭ই এপ্রিলের আদেশ অনুসারে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা সহ, আবারো আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালাম, অবিলম্বে সহানুভুতি সহিত এবং বিচার বিবেচনা করে আমাদের দিকে নজর দিন, স্কুলে যাওয়ার এবং বেতন সংক্রান্ত সমস্ত কিছু চালু করুন।