গুলি করে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় মিরপুরে ৮ লক্ষ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে দিল প্রতিপক্ষ দূর্বৃত্তরা
স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া জেলা:
গুলি করে হত্যা করতে ব্যার্থ হওয়ার পর একের পর এক ক্ষতি সাধন করে অর্থনৈতিক ভাবে পুঙ্গু করে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মিরপুরের ভাটা মালিক ও মৎস্য চাষী কাউসার হোসেনের প্রতিপক্ষ দূর্বত্তরা। প্রতিপক্ষরা এবার এক জোট হয়ে কাওছার কে সর্বস্বান্ত করতে তার ২টি বড় বড় পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মাছ মেরে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। একদিকে ২০ লক্ষ টাকার ইট বিক্রির টাকা আত্মস্বাত, আরো ১৫ লক্ষ টাকার ইট প্রতিপক্ষরা আটকে রাখা এবং দিনের আলোয় পুকুরে বিষ দিয়ে ৮লক্ষ টাকার মাছ মেরে দেওয়ার ঘটনায় এখন সর্বশান্ত এক সময়ের দাপুটে সফল ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র। তার সাথেই পারিবারিক এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ তৈরী হয় তারই ভাই মৃত আশরাফুল ইসলামে ছেলে জিসান, আপন ভাই ইসরাইল ও আরমান এর সাথেই যোগ দেয় কাওছার’র স্ত্রী আফছানা মিমি এবং তার দুলাভাই লালন, তার সহযোগী বিপুল, ইমারুল, রফিকুল ও স্বপন। কাওসার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ওই প্রতিপক্ষরাই আমার ব্যবসা দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। সেই মামলা এখনো চলমান। আমাকে অর্থনৈতিক ভাবে পুঙ্গু করে দিতেই ঈদের দিন শনিবার সকালে ওই দৃর্বৃত্তরাই আমার পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মাছ মেরে দেয়। বিষ দেওয়ার পর মুর্হুতেই মাছগুলো মরে গিয়ে ভেসে উঠে। পুরো পুকুর মরা মাছে সাদা হয়ে যায়।
কাওছার হোসেন’র ভাই জাকারিয়া জানান, কাওছারকে শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিপক্ষ দৃবৃত্তরা। আমরা দেখেছি ঈদের দিন সকালে পুকুরের দিকে ইসরাইল, জিসান, আরমান ও কাউসার হোসেনের স্ত্রী আফসানা মিমের দুলাভাই লালন, তার সহযোগী বিপুল, ইমারুল, রফিকুল ও স্বপন কে ঘুরা ফেরা করতে। এই মাছ মেরে দেওয়ার পেছনে তাদেরই হাত রয়েছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। দ্রুত আসামীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওছার আরো জানান, আমি একজন ইটভাটা মালিক ও মৎস চাষী। আমি বিভিন্ন জায়গায় পুকুর বা জলাশয়ে মাছ চাষ করি। আমি আমার গ্রামের আমার ইট ভাটার সাথে ২টি পুকুর আছে। ১টি ৭ বিঘা ও ১টি ৪ বিঘা। আমার পুকুরে বিভিন্ন প্রকার মাছ রয়েছে। আমি সহ আমার পরিবারের সকলে মিলে পাহারা সহ দেখভাল করি। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৬ জুন রাত ১২টার সময় আমি পুকুর দেখভাল করে বাড়ীতে চলে যায়। তখন আমার পুকুর ঠিকই ছিলো। পরদিন দুপুর ১২ টার দিকে আমার বড় ভাই জানায় পুকুরের সব মাছ মরে ভাসছে। তখন পুকুরে গিয়ে দেখে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ধারনা প্রতিপক্ষ দৃর্বৃত্ত ইসরাইল, জিসান, আরমানরাই ও আমার স্ত্রীর দুলাভাই লালন, তার সহযোগী বিপুল, ইমারুল, রফিকুল ও স্বপন ঈদের দিন ১২টার আগে যেকোন সময় আমার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়া পুকুরের সকল মাছ মেরে দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।