ধরমপুর ইউনিয়ন সার্চ কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে হাজ্বী শামসুল হকের লোকদের উপর হামলা , মারপিট ও গুলিবর্ষণ অভিযোগ।
স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া জেলা।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়ন সাতবাড়িয়া গ্রাম সার্চ কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে হাজ্বী শামসুল হকের লোকদের উপর হামলা , মারপিট ও গুলিবর্ষণ অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১৭/০৬/২০২৫ ইং মঙ্গলবার রাত্রি ৯:০০ ঘটিকার সময় এই ঘটনা ঘটে। হাজ্বী শামসুল হক বলেন, আজ ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির মিটিং ছিল। সেখানে আমি সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাসদের লোকদের পদ দেওয়ায়, আমার লোকজন তা প্রতিবাদ করায় রবুল সরকার, মিঠু ও নান্টুর লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে সেটা মীমাংসা হয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রাত্রি ৯ ঘটিকার সময় আমরা সবাই মিটিং শেষ করে চলে আসার সময়, আমার লোকজনের উপর রবুল সরকার, মিঠু ও নান্টুর লোকজন গুলি বর্ষন করে এবং আমার জামাতা টিপু মেকার কে মোটরসাইকেল যোগে এসে সাতবাড়িয়া রবুল সরকারের অফিসের সামনে ধরে মারধর করে ও তারা সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা নাটকীয় কায়দায় পিস্তলের গুলি ছিটিয়ে রেখে আমি সহ আমার ছেলে রাজন ও আমার লোকজনের উপর দোষ ছড়ায়। যেটা একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। এই নান্টু দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। আজকের কমিটিতে সে বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাস নিয়ে এসে কমিটি বানচাল করার লক্ষ্যে গুলি করে এবং তাজা গুলি ছিটিয়ে রেখে আমার লোকজনের উপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
ভেড়ামারা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকাশ বলেন, আমরা মিটিং শেষে চলে আসছিলাম। আমাদের ধাওয়া দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও লুটপাট করে। আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। তারা আমাদের একটি লোক জোর পূর্বকভাবে ধরে রেখেছে, পরে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আমাদের লোক উদ্ধার করে। ভেড়ামারা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আকরাম বলেন, ছাত্রদল এমন একটি সংগঠন। এরা কখনো অস্ত্রের রাজনীতি করে না। এরা সব সময় মানুষের পাশে থাকে। এই ছাত্রদল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের একটি দল। আজকে ধরমপুর ইউনিয়ন ব্যাপী সার্চ কমিটির একটি মিটিং ছিল। সেখানে ভোটার লিস্ট করা হচ্ছিল। আমরা হাজী শামসুল হকের নেতৃত্বে বিকেল ৪ঃ০০ ঘটিকার পরে সেখানে উপস্থিত হই। এই ভেড়ামারায় গ্রুপের রাজনীতি চলে, সেখানে আমরা একটি গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা একটি গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মিটিং শেষে হাজী শামসুল হকের নেতৃত্বে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। আসার পরে সেখানে আমাদের সিনিয়র কিছু বড় ভাই কথাবার্তা বলতেছিল। তার এক পর্যায়ে তাদের কিছু লোক আমাদের লোকের উপরে হামলা করে এবং গুলি চালায়। তারা অন্যের উপরে দোষ চাপানোর জন্য তাজা গুলি ফেলে রাখে এবং আমাদের নামে মিথ্যা প্রচার চালায়, যেটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।