আনন্দধারা প্রকল্পে কর্মরত এস সি মহিলা কর্মীরা , স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি ও বিভিন্ন দাবী নিয়ে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিলেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২০শে জুন শুক্রবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে, পশ্চিমবঙ্গ এস আর এল এম, এস সি কর্মী ইউনিয়নের নেতৃত্বে, আনন্দধারা প্রকল্পে কর্মরত এস সি (সংঘ কো অর্ডিনেট) স্থায়ী সরকারি স্বীকৃতি ও বিভিন্ন দাবী নিয়ে, কয়েকশো মহিলা কর্মী জমায়েত হন, এবং সেখান থেকে মিছিল করে এস এন ব্যানার্জী রোড ধরে স্লোগান এর মধ্য দিয়ে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে মিছিল শেষ করেন শেষ করেন। মিছিল ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ পৌছলে সমস্ত যান চলাচলের রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ করে দেন। চতুর্দিকের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিছিল ওয়াল চ্যানেলে পৌছালে, আমাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে, রাজ্যপাল ,মুখ্যমন্ত্রী ও মিশন ডিরেক্টরের নিকট ডেপুটেশন দিতে যান।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন,, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত, পশ্চিমবঙ্গ এস আর এল এম, এস সি কর্মী ইউনিয়ন জেলা থেকে প্রায় ছয়শোর বেশি কর্মী জমায়েত করেন। তাহারা জানান গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কাজে যুক্ত আনন্দধারা প্রকল্পে, এস সি কর্মীদের ব্লক স্তরে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি পঞ্চায়েতে একজন করে এস সি কর্মী সিলেকশন করা হলেও , তাদের কোন নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। মাসিক নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, সংঘের অধীনে এদের রেখে দেওয়া হলেও, এদের সব কাজ দেখভাল করেন সরকারী আধিকারিকরা। কোন সংঘের অনিয়ম কিংবা বেআইনি কাজের প্রতিবাদ জানালে, এদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ জানানোর কোন জায়গা থাকে না। তাহারা বলেন এইভাবে বহু কর্মীর কাজ ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং বলেন এর সাথে যুক্ত রয়েছে স্থানীয় সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির হস্তক্ষেপ। এসি কর্মীরা স্বনির্ভর প্রকল্পে কাজ করলেও নিজেরাই হয়ে আছেন পরনির্ভর। তাই আজ নিম্নলিখিত দশ দফা দাবী তুলে ধরা হয়েছে , সরকার যদি দাবী পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী দিনে কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
আমাদের দাবী:- এস সি কর্মীদের চুক্তি পদ্ধতি বাতিল করে, সরকারি স্বীকৃতি সহ স্থায়ী নিয়োগ পত্র দিতে হবে।
কর্মীদের নিজস্ব একাউন্টে প্রতি মাসে অনারিয়াম এবং অতিরিক্ত কাজে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে।
বাজারদর অনুযায়ী প্রতিবছর অনারিয়াম বৃদ্ধি করতে হবে।
কর্মীদের নিয়মিত ট্রেনিং দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।।
যে সমস্ত কর্মীদের বিনা কারণে বসিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের পুনরায় কাজে নিয়োগ করতে হবে।
কর্মীদের গাড়ি ভাড়া, মোবাইল খরচ, ইএস আই সুবিধা ও মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি দিতে হবে।
কর্মীদের সরকারি ছুটি ও অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে।।
কর্মীদের অবসরকালীন ৫ লক্ষ টাকা সহায়তা ও পেনশন চালু করতে হবে।
প্রকল্পকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভাবে পরিচালনা করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।