গনতন্ত্র হত্যা ও ভোট ডাকাতির দায়ে আওয়ামীলীগের পুর্নবাসনের সুযোগ নেই তাহসিনা রুশদীর লুনা
ওসমানীনগর সিলেট সংবাদদাতা ::
যুগ যুগ ক্ষমতায় থাকার ব্যর্থ চেষ্টায় ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে
নেত্রীর সামনে দৈনিক “আমার দেশ” প্রতিনিধি র উপর হামলার বিচার চাইলেন বিএনপি নেতা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা ও ভোট ডাকাতির দায়ে জাতির কাছে দুষ্কৃতিকারী একটি দল হিসেবে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির নিখোঁজ বিএনপি নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
তিনি বলেন,বিগত দেড় দশকের অপশাসনে এ অঞ্চলে আওয়ামীলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার ব্যর্থ স্বপ্ন দেখেছিল। তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে গেছে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে। পতিত ও পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মতো নিষ্ঠুর ও নির্মম স্বৈরাচারী শাসক পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটা বিরল।
সিলেটের উন্নয়নের টুটি চেপে ধরতে উল্লেখ করে লুনা বলেন,ইলিয়াস আলীর মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে তারা গুম করতে দ্বিধাবোধ করেনি।কিন্তু কেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসের রাজত্ব ভেঙ্গে শান্তির ও উন্নয়নের সমাজ প্রতিষ্টা করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী গনজাগরণ তৈরী করেছিলেন তখনই ইলিয়াস আলী কতিত শেখ হাসিনার রোষানলে পড়েন।
লুনা বলেন,দেশ ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী নিজের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের কথা ভূলে যেতেন,ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে অনেক সময় “আচামকা”বলে উঠতে আগামীকাল কোথায়,যাবেন,কি করবেন এমন কত কি? এলাকার কল্যাণে কাজ করা সেই মানুষটি কখনও নিজের বিলাসী জীবনের কথা চিন্তায় আসেনি। এখনও সিলেটে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে লুনা বলেন, গ্রামের টিনসেড বাড়ীটিতে ইলিয়াস আলীর অমলিন স্মৃতি সবাইকে আজও দাগ টানে উল্লেখ করে লুনা বলেন,আমরা বিশ্বাস করি তিনি এখনও বেঁচে আছেন এবং আমাদের মাঝে ফিরবেন। তিনি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি ইলিয়াসের জন্য দোয়া প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
২৪(জুন)মঙ্গলবার রাতে উসমানপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠণের উদ্যোগে ইছামতি গ্রামে আয়োজিত “ঈদ পূণর্মিলনী” অনুষ্টানে উপরোক্ত কথা বলেন।
এময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রুপ আব্দুল বলেন,গত ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের সংগঠিত হামলার স্বীকার হয়েছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ওসমানীনগর প্রতিনিধি সাইফুর এম রেফুল।ইছামতি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে জালভোট প্রদর্শনের ছবি তুলতে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হলেও সন্ত্রাসীরা আজও প্রকাশ্যে ঘুরছে।রেফুল তাদের পাশের গ্রামের সন্তান ও একজন সাংবাদিক হয়েও আওয়ামীলীগের নির্মম হামলা থেকে রক্ষা পাননি।তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ময়নুল হক চৌধুরী।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মখদ্দছ আলী মখন মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানে পরিচালনায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ,জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোক্তার আহমদ বকুল,দয়ামীর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: সুজন আলী,উসমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, তাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহমদ,ছাত্রদলের আহবায়ক সুয়েব আহমদ,যুগ্ম আহবায়ক আল মাছুম আবির প্রমুখ।