চট্টগ্রাম-১২ আসন পটিয়ায় জনগণের পছন্দের শীর্ষে গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল
————————————————
মোঃ হাসানুর জামান বাবু। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি ও সকল সমমনা দলের প্রার্থীদের অবাধ বিচরণ শুরু হয়েছে। অনেকে আগে থেকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে সব সময় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থাকতে দেখা গেলেও কিছু কিছু আবার ০৫ আগষ্টের পর মৌসুমী নেতারাও এখন নিজেকে প্রথম সারির নেতা দাবি করে সক্রিয় হচ্ছে যেখানে সেখানে। যারা আওয়ামিলীগ এর সাথে এতোদিন মিলেমিশে নিজেদের আখের ঘোচানোর তালে ছিলো, আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বা তাদের আত্নীয় স্বজনের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করে বেশ ভালো ইনকাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। এখন তারা পুরোপুরি বিএনপির বড়নেতা।বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থক পাওয়ার জন্য বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমর্থন ও জনগণের দোয়া কামনা করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম-১২নির্বাচনী এলাকাটি হল পটিয়া উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও পটিয়া পৌরসভার ০৯ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এলাকা। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এ আসনটিতে সবার নজর রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার অধিকাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করে। তাই সকল প্রার্থীর নজর তাকে সবসময় চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া নির্বাচনী এলাকার ভোটারের দিকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় বেশ আগে থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টায় রয়েছে। চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়নের জন্য দৌড়ে থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,পটিয়ার একাধিক বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল দিকে। তিনি ১৯৯৬ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতা থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া নির্বাচনী এলাকায় প্রথম বার মনোনয়ন লাভ করেন এবং ভোটের ফলাফলে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিশাল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাকে হারিয়ে ✌ জয়লাভ করেন। সেইবার বিএনপি সরকার গঠন করতে না পারলেও জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল এর দরাজ কন্ঠে প্রতিটি সংসদ অধিবেশনে গঠন মূলক যৌক্তিক ভাষণ সারা দেশের মানুষের তরুণও সংসদে কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত ও জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি করে। এই পাচঁ বছর তিনি বিরোধী দলীয় এমপি হওয়ায় পটিয়াতে বড়সড় দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে না পারলেও তেমনটা একেবারে করেননি সেটাও নয়।বিরোধী দলীয় এমপি হিসাবে উনার সাথে বৈষম্য মূলক আচরনের পরও সরকারি বরাদ্দ বাবদ যা পেয়েছেন তাই তিনি পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো চেষ্টা করেছেন এবং কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে। পরবর্তীতে আবার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সে সময পটিয়া থেকে আরো অনেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিল কিন্তু এর আগের পাঁচ বছরে আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল এর পটিয়াবাসীর প্রতি সৎ দায়িত্বশীল আচরণ কথাবার্তা অমায়িক ব্যবহার দলের পক্ষে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার কৌশলী যৌক্তিক জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে এতো তরুণ বয়সে উনার মেধা বিচক্ষণতা দেশপ্রেম সবকিছু মিলে সবার চাইতে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকায় সে সময় ২০০১ সালে আবারও জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল কে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড। তৃণমূলের পছন্দের তালিকা এবং ভোটারদের পছন্দনীয় হওয়ায় আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিএনপি থেকে সেইবারও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাতকে ধরাশায়ী করে দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে।উনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সেই বার বিএনপি সরকার গঠন করেন দেশের দুই তৃতীয়াংশ আসনে ✌জয়ী হয়ে। ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত এই পাঁচ বছর পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এমন কোন মসজিদ মাদ্রাসা ইস্কুল কলেজ রাস্তা ঘাট সেতু কালভাটসহ এমন কোন সেক্টর নেই আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল এর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।তখন পটিয়াতে উনার আন্তরিক দায়িত্বশীল নেতৃত্বের কারণে এতোটাই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, যেসময় পটিয়াতে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ চুরি ডাকাতি দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি মিথ্যা মামলা হামলা হয়রানি এগুলো কি জিনিস পটিয়া নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ জনগণ কখনো উপলব্ধি করতেও পারেনি।এককথায় এগুলোর সাথে তখন পটিয়ার জনগণে পরিচিত ও হয়নি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারী হাসিনা পতন আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল তখন চট্টগ্রামের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রিয় পাত্র হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। এবং পটিয়া তথা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদের মননে মগজে স্হান করে নিয়েছে।রাজনীতির শুরু থেকেই আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল সরাসরি বিএনপির সাথে জড়িত থেকে এখনো পর্যন্ত সুনামের সহিত তার রাজনৈতিক যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়ে তৃণমূলের মূল্যায়নকে গুরুত্ব দিবেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন। এ বিষয়ে আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল বলেন- আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও দলীয় হাইকমান্ড যদি আমার অতীত কর্মকান্ড বিবেচনা করে চট্টগ্রাম -১২ পটিয়া থেকে আমাকে গত তিনবারের মতো এবারও মনোনয়ন দেন তা হলে গত যে দুইবার নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিলো সে দুইবারে মতো এবার আমি সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়ে বিএনপিকে আসনটি উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশা লাগবে সব সময় কাজ করে যাবে। এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বলেন শিক্ষিত মার্জিন ভদ্র নম্র বিচক্ষণ দূরদর্শী পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল আগে থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং কোন কারণে দলীয় ও পারিবারিক কাজে কখনো দূরে থাকলেও সার্বক্ষণিক পটিয়া তথা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপিও সাধারণ জনগণে খবরাখবর নিয়েছেন । বিপদে আপদে সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নির্বাচনী এলাকার সকলের খোঁজ খবর রেখেছেন বিধায় উনাকে এবারও চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিলে সরাসরি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে নেতা কর্মীরা মনে করেন। ক্লিন ইমেজের একজন প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল যোগ্য বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেন।
লেখক:- মিডিয়া কর্মী ক্রীড়া সংগঠক।