ইয়ংস্টার ক্লাবের পরিচালনায়, রথযাত্রা উৎসব পালিত হল নতুন আঙ্গিকে ও নতুন ভাবনায়।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৯শে জুন রবিবার, ২৭ শেষ জুন যখন সারাদেশে রথযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে , এবং ২৭শে জুন যখন দীঘার জগন্নাথের রথ ও পুরীর জগন্নাথ রথ এবং ইসকনের জগন্নাথের রথে দড়িতে টান পড়েছে, ঠিক সেই সময় রথের দড়িতে টান পড়লো শ্যামপুকুর ইয়ং স্টার ক্লাবের , তবে তাদের রথযাত্রা একটু আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার ফলে কিছুটা হয়তো থমকে গিয়েছিলেন, কিন্তু ভক্তদের সমাগম এতোটুকু কমেনি,
সুন্দর একটি প্রশেসনের মধ্য দিয়ে, ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে বাজনা বাদ্যি , নৃত্যকলা কুশলী ও লাইটিং সহ জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা দেবীকে নিয়ে একটু একটু করে ইয়ংস্টার ক্লাবের সামনে থেকে বিধান সরণি ধরে শ্যামবাজার হাতিবাগান, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে ,সেন্ট্রাল এভিনিউ রাস্তা ধরে রথ টেনে নিয়ে চললেন পুনরায় ইয়ং স্টার ক্লাবে দিকে, সাথে সাথে এগিয়ে চলেছিলেন কুনাল ঘোষ।।
উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে মাননীয় মন্ত্রী শশী পাঁজা ও কুনাল ঘোষ।
সুন্দর একটি প্রশেসন ও রথ দেখতে রাস্তার দুই ধারে কয়েকশ মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন এবং প্রশাসন যত এগিয়ে আসে ভক্তরা জগন্নাথের জয়ধ্বনি দিতে থাকে, রাস্তার মাঝে মাঝে দেবতা রুপি, একদিকে রাধা কৃষ্ণ, অন্যদিকে শিব ও কালী নৃত্যের ও গানের তালে দেবতাদের স্মরণ করলেন। দেবতা রূপে নৃত্য করলেন।
আর রথযাত্রার মানেই বাঙ্গালীদের মুখরোচক খাবার হল পাঁপড় ভাজা ও জিলেপি। এই রথের দিনটিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাঁপড় ও ঝিলিপির দোকান দেন, পথ চলতি মানুষ এলাকার মানুষেরা এই দিনটিতে একটা পাঁপড় ও জিলিপি খেয়ে মনের তৃপ্তি অনুভব করেন, তাহারা বলেন একটি বছর অপেক্ষা করি এই দিনটি কবে আসবে , আমরা গুনতে থাকি, জগন্নাথের রথযাত্রা উপলক্ষে এরকম গরম পাঁপড় আর জিলিপি সচরাচর সারা বছর পাওয়া যায় না। জগন্নাথ কে দর্শন করাও হলো আর একটু মুখের স্বাদও পাল্টানো হলো। এই রথ যাত্রায় বিভিন্ন স্থানে ভক্তদের সমাগম চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি কোন বাঁধাই আটকে রাখতে পারেনি।