গাজীপুর কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা সেবা নামে চলছে নানা অনিয়ম:
বিশেষ প্রতিনিধি।
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে নানা অনিয়ম এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের সেবা, আমাদের প্রতিনিধি হাসপাতালে সরজমিনে পরিদর্শন করতে গেলে কালীগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীর সাথে কথা বললে উঠে আসে অসংখ্য অনিয়ম এবং ভোগান্তির অভিযোগ। তারা বলে যে প্রথমে ডাক্তার দেখাতে টিকেট কাটতে সরকারি নির্ধারিত মুল্য তিন টাকা হলেও টিকেট প্রতি দিতে হবে ৫ টাকা, ১০/২০ টাকার নোট দিলে বাকি টাকা ফেরত না দিয়়ে ভাঙ্গতী না থাকার কারন দেখায়, এক্সরে, আল্ট্রা করতে সরকারি ফি থেকে বেশি টাকা রাখে, দেওয়া হয়না পাকা রশিদ, ইমার্জেন্সিতে ডেসিং, ব্যান্ডেজ এবং সেলাই করলেও দিতে হয় বকসিস। সরজমিনে গিয়ে দেখা একজন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন, বাকি ডাক্তার এর রুমের বাহিরে অপেক্ষারত রোগীর ভিড়, একাধিক গাইনী রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নিদিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা না করলে দেওয়া হয় না ব্যবস্থাপত্র, ঔষধ নিতে গেলেও দেখা যায় অনেক ঔষধ নেই বলে রোগীদের বিদায় করে দেয়।রুগীদের বেড এর অবস্থাও তেমন ভালো না, হাসপাতালের চারদিকের নোংরা পরিবেশ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা, রাতে দেওয়া হয় না মশারী, খাবারের মানও তেমন ভালো না বলে জানিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাদিক রুগী। ইমারজেন্সীতে এক ডাক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেও। জানা যায় নির্বাহী কর্মকর্তার বোন জরুরী সেবা নিতে আসলে ডিউটি ডাক্তার বলেন আমি কি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চাকরি করি নাকি? আরেক ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ঈব্রাহীম প্রধাননও ঐ ডাক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এসব বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তার সাক্ষাৎ নিতে গেলে তিনি হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো: কামরুজ্জামান ও নাজমুল হক কে জিজ্ঞেস করতে বলেন, আমি নতুন তাই আমি কিছুই জানি না, তাদের জিজ্ঞেস করেন। আমাদের প্রতিনিধি জিজ্ঞেস করলে আপনি কি এখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না, আপনি এর দায় এরাতে পারেনকি, উক্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি এবিষয়ে অবগত না। তখন নাজমুল হক বলেন যারা পয়ঃনিস্কাশন এর অবৈধ সংযোগ হাসপাতালের ড্রেনে দিয়েছে তাদেরকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে আশেপাশের আবাসিক বাসা বাড়ির পয়ঃনিস্কাশন এর অবৈধ সংযোগ সরকারি হাসপাতালে ড্রেনে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে কয়টি সিজার, কয়টি আল্ট্রা এবং কয়টি এক্সরে হয়েছে জিজ্ঞেস করায় প্রতিনিধিকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন আপনি সাংবাদিক নাকি সাঙ্ঘাতিক। উল্লেখ করা যেতে পারে যে আমাদের প্রতিনিধি তাকে তার কথা উঠিয়ে নিতে বলেন, আপনি একজন সাংবাদিককে সাংঙ্গাতিক বলতে পারেন না, তিনি বলেন আমি ফ্রেন্ডলী বলেছি, তার জবাবে আমাদের প্রতিনিধি বলেন আপনি কি কালীগঞ্জে আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে এসেছেন নাকি মানুষের সেভা করতে এসেছেন। আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদমর্যাদায় রয়েছেন তাই আপনি সকলকে সন্মান দিয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ রইল। আল্ট্রায় ৩০০/এক্সরেতে কত টাকা করে নিলে ও সরকারি কোষাগারে কত টাকা করে জামা পড়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানেন না বলে জানান। ১৪ই জুন রবিবার সকাল বেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের এর পিছনে স্যালাইনের কার্টুন ভর্তি তিন /চার মাসের মানব ব্রণ পরে ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী এই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় যে স্যালাইনের খালি কাটুন এর মধ্যে একটি তিন/চার মাসের মানব দেহ অর্ধগলিত অবস্থায় পড়ে আছে। কালীগঞ্জের জনগণের দাবী এই কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসারণ করা হক।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত