বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে, শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে , মহা মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১৬ই জুলাই বুধবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, কলেজ স্কোয়ারে,শ্রী মতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে তৃণমূল কর্মীরা এবং সাংসদ, বিধায়ক, পৌর প্রতিনিধি ও কাউন্সিলর, আইনজীবীরা জমায়েত হন কয়েক হাজার, প্রত্যেকের হাতে ছিল ব্যানার ও পোস্টার, পোস্টারে লেখা, ডবল ইঞ্জিন সরকার ,বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ। এই বিষয়কে নিয়েই প্রতিবাদের ঝড় এবং প্রতিবাদ সভা ও মহামিছিল। আমরা চাই বাংলা ভাষার সম্মান বাংলার সম্মান।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, ফিরহাদ ববি হাকিম, সুজিত বোস, সায়নী ঘোষ, অরুপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশীষ কুমার, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অতীন ঘোষ, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ত্রিরাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জুঁই বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে,নির্মল চন্দ্র স্ট্রীট, ওয়েলিংটন মোড়, লেলিন সরণি হয়ে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এর সভাস্থলে, প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও মিছিল এতটুকু ভাঙেনি, দিদির পায়ে পায়ে সবাই হেঁটেছেন।
ভিন রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর বিজেপির অমানবিক অত্যাচার ও বাংলা বিদ্বেষ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো, তাই আজ জেলায় জেলায় প্রতিবাদী ঝড় উঠেছে।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বলেন, আমরা সব ভাষাকে সম্মান করি, কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা বাংলার, অসম্মান আমরা বরদাস্ত করবো না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যক্তি বলেন , আমি রাজস্থানের বাংলায় সম্মানে থাকি ,সম্মানে বসবাস করি।
তিনি বলেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখী বন্ধন করেছিলেন, আজকে দুটো জাতীয় সংগীত সৃষ্টি হয়েছে,
যাদের লেখায় বর্ণিত হয়েছে, জনগণমন-অধিনায়কও,যারা দেশ স্বাধীন করেছে, যারা বন্দেমাতরম জাতীয় সংগীত সৃষ্টি করেছেন, তাহার সাথে সাথে বলেন , আমদি আশ্রম যদি বাংলায় থেকে বঙ্গভঙ্গ রোধ করার জন্য বাংলাকে ভালোবেসেছিলেন বাংলা কি ঘর করেছিলেন, আজকে তাদের উপর অত্যাচার তাদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় সেটা হতে দেব না। যত স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম আছে, ফ্রিডম ফাইডার আছে তাহার মধ্যে ৭০% হচ্ছে বাঙালী, আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। তাহাদের তালিকা আলিপুর জেলেও রাখা আছে পারলে একবার দেখে আসুন।
তিনি আরো বলেন চাই মজদুর হোক, চায়ের দোকানদার হোক, হকার হোক, কর্মচারী হোক, সবকে আমি চেক করি। তো আমি হাত লাগাই না, পছন্দ করি সম্মান দিতে, খালি বাঙ্গালীদের উপর এত রাগ কিসের, কী করেছে বাঙালী আপনাদের ।
শুধু তাই নয় একটা নোটিফিকেশন জারি করেছে জেনে রাখুন।, আমরা ঐ নোটিফিকেশনটা চ্যালেঞ্জ করেছি- শিখ, ইউপি, পাঞ্জাব, উড়িষ্যা, রাজস্থান ,আসাম, বিহার যে যার ভাষা আলাদা কিন্তু আমি সব ভাষাকে সম্মান করি।,
আর আপনারা বাংলা ভাষা বলার জন্য, বাংলাদেশী রোহিঙ্গা বলে জেলে পাঠান। জন্য আপনারা রোহিঙ্গা বলেন, তাহারা ওয়েস্ট বেঙ্গলের নাগরিক, তাদের কাছে আই ডি কার্ড আছে, আধার কার্ড আছে, প্যান কার্ড আছে তাহলে কিসের ভিত্তিতে আপনারা তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে থানায় নিয়ে যান।
অথচ তাদের কে আপনারা নিয়ে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ, সোনার দোকানের কাজ, কন্টাকসনের এর কাজ করিয়ে থাকেন, আর তাদেরকেই কাজের শেষে বাংলা ভাষা বলার জন্য রোহিঙ্গা বলে বাংলাদেশের জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, লজ্জা থাকা দরকার।
বাইশ লক্ষ্য আমার বাংলার মজদুর ভাইয়েরা কাজ করতে যায় পেটের জ্বালায়, আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়, বাংলায় থাকলে তারা অনেক ভালো থাকতো তাদের নিয়ে গিয়ে কাজ করিয়ে বাংলা ভাষা বললেই, ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন। আর আমরা ছেড়ে কথা বলবো না, আমরাও দেখতে চাই কিভাবে আপনি বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার করতে পারেন।
এমনকি সবাই জেনে রাখুন, একটি নোটিফিকেশন চালু করেছে, যাকেই সন্দেহ হবে তাকে বিনা কারণে এক মাস গেলে রেখে দেবে। ইল লিগ্যাল, অবৈধভাবে আইন করেছেন যার কোন মানে নাই,
তাই আমি এবার ঠিক করেছি বেশি করে বাংলা ভাষা বলব।, হিন্দি ভাসি লোক থাকলেও, আমি বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দেব, কি করে ডিটেনশনে পাঠায়। আরো প্রশ্ন করেন, রাজবংশী কি, হিন্দু না মুসলিম। অনেক আইন করছেন এর জবাবটা আপনাকেই দিতে হবে। জনগণের কাছে। চারিদিকে শুধু অপপ্রচার, বাঙ্গালীদেরকে ধরে ধরে অত্যাচার।
আরো একটা কথা জেনে রাখুন, আমি বাংলায় আছি থাকবো, ২০২৬ এ আপনাকে মানুষ জবাব দেবে, বিজেপি থাকবে কিনা জেনে রাখুন বাংলায়। আর আমি বাংলায় আছি, দিল্লিও অধিকার করব।
এর সাথে সাথে সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা গদি মিডিয়া, আপনারা যা বলেন দিল্লী তাই করে, আপনারাও একদিন নিউজ করতে যাবেন আর বাংলা ভাষা বললে আপনাদের কেউ ডিটেনশনে রেখে দেবেন। এটা ভালো করে শুনে রাখুন, আমরাও দেখতে চাই উনি কত রকম আইন করে বাঙ্গালীদের জব্দ করতে চাইছেন, আমি তা হতে দেব না, আজ জেলায় জেলায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, তাই জনসভায় এই লোকসংখ্যা, আগামী একুশে জুলাই মানুষ প্রমাণ করে দেবে কাকে চায়,