সরিষাবাড়ীতে ৫ লক্ষ টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় হাত- পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ
সরিষাবাড়ী ( জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল গ্রামের ট্রাকচালক তোজাল মিয়ার এর নিকট দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় তাকে আটকিয়ে রেখে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ডান হাত ও পা ভেঙ্গে এবং রগ কেটে দিয়েছে সন্দেহভাজন চাদাবাজরা। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল গ্রামের ড্রাইভার জনি মিয়ার বসত ঘরে আটকে রেখে এ ঘটনা ঘটিয়েছে জনি ও তার সহযোগীরা। পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে কত্যব্যরত চিকিৎসক ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল গ্রামের ট্রাক চালক তোজাল মিয়া একই গ্রামের পাশের বাড়ীর উজ্জল মিয়ার ছেলে ট্রাক ড্রাইভার জনি মিয়া কে তারাকান্দি এলাকার ট্রাক মালিক কামরুল ইসলাম এর ট্রাক চালানোর জন্য সুযোগ করে দেন। কামরুল এর ট্রাক চালানোর দায়িত্ব পেয়ে ট্রাকের ভাড়া নিয়মিত না দেওয়ায় ট্রাক মালিক ড্রাইভার জনি মিয়া কে বাদ দিয়ে দেন। এ বিষয়টি ড্রাইভার তোজাল মিয়ার মাধ্যমে ড্রাইভার জনি মিয়া কে বাদ দেওয়া হয়েছে সন্দেহে গত শুক্রবার রাতে তোজাল মিয়ার বাড়ী থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জনি মিয়ার বসত ঘরে নিয়ে আটক করে মারধর করে এবং ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন বলে আহত তোজাল মিয়ার বড় ভাই সুজাল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এ সময় আহত তোজাল মিয়ার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে নির্যাতনের পর স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে জামালপুর নেওয়া হলে সেখান থেকে কত্যব্যরত চিকিৎসক ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। বর্তমানে সে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তোজাল মিয়ার বড় ভাই মোজা মিয়া নিশ্চিত করেন। এ দিকে ড্রাইভার তোজাল মিয়া কে মারধরের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নারী ঘটিত ঘটনা বলে জনসাধারনের মাঝে অপ-প্রচার চালায় জনি মিয়ার লোকজন।
এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মোজাম্মেল হক ( মোজা ) বাদী হয়ে জনি মিয়া কে বিবাদী করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।