উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজিনা ইসলামের মরাদেহ
দৌলতপুরে দাফন সম্পন্ন হয়।
মোহন আলী স্টাফ রিপোর্টার।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে জুমজুম ইসলাম ৫ম শ্রেণী ও এস এম রুহান ৬ ষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষার্থীর মমতাময় মা রজিনা ইসলামের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জুমজুম ইসলাম ও এস এম রুহান বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনেই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। গত কাল ২১/০৭/২০২৫ ইং তারিখে আমার ছেলে এস এম রুহান শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে স্কুলে যেতে পারেনি। কিন্তু আমার মেয়ে জুমজুম ইসলাম তার স্কুলে যায়, আমার ছেলে ও মেয়েকে আমার স্ত্রী স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করে। যখন সে এই দুর্ঘটনা বিষয়ে জানতে পারে তাৎক্ষণিক স্কুলের মধ্যে ঢুকে যাই। যাওয়ার পর বিধ্বস্ত বিমানের একটি লোহার অংশ এসে আমার স্ত্রীর মাথার পিছনের অংশে লেগে সেখানেই সে মারা যায়। আমি ব্যবসার কাজে চিটাগাং থাকাই আমার কাছে ফোন যায়, আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি সেই কথা শুনে তাৎক্ষণিক চিটাগাং থেকে এসে অনেক
খোঁজা খুঁজির পর হাসপাতাল থেকে তার লাশ সনাক্ত করে নিয়ে আসি। পরে আমার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সাদীপুর গোরস্থানে তার ক্লাস দাফন সম্পন্ন করা হয়।