কালিয়ায় কৃতি ছাত্র ছাত্রী দের সংবর্ধনা,
শেখ ফসিয়ার রহমান, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি!!
পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন্স স্কিম (এসইডিপি) আওতায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো সম্মাননা প্রদান ও অনুপ্রেরণা মূলক এক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান। আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন শাখার মোঃ আব্দুল মান্নান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দীন।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগণ অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্যের কৃতিত্ব শিক্ষকদের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, “আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টার কারণে।” তারা ভবিষ্যতে আদর্শ নাগরিক হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
অন্যদিকে, শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে গর্ব ও আক্ষেপের মিশ্র প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। একদিকে শিক্ষার্থীদের সাফল্যে গর্ব, অন্যদিকে অবহেলিত শিক্ষক সমাজের সীমাবদ্ধতা। তারা বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামো, সামাজিক অবমূল্যায়ন ও আধুনিক শিক্ষাদান কাঠামোয় তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন।
একজন শিক্ষক বলেন, “শুধু মেধাবী হলেই চলবে না, মনুষ্যত্ববোধও জাগ্রত করতে হবে।” বুয়েটের আবরার হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “মেধা যদি মানবিকতার সাথে না থাকে, তাহলে তা সমাজের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।”
বিশেষ অতিথি শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ও পরিশ্রমী হওয়ার আহ্বান জানান এবং শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও সরকারি অনুদানের বৃত্তি বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সম্মাননা তাদের ভবিষ্যতের পথচলায় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।