কালীগঞ্জে ভূমিদস্যুতার ৫০ বছর জ্বাল কাগজ, ভুয়া মামলা, আদালতের নিষেধাজ্ঞা!
বিশেষ প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ, বান্দাখোলা মৌজায় প্রায় ৫০ বছর ধরে চলমান জমি বেদখলের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মাঠে নেমেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা – “হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল”।
ভূমির প্রকৃত মালিক মিলন গং জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষের জমি সাময়িকভাবে দিয়েছিলেন আত্মীয় গোপাল গংদের হাতে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে গোপাল গং হয়ে ওঠে ভয়ংকর ও ধূর্ত দখলবাজ।
তারা জ্বাল দলিল তৈরি করে, মিথ্যা মামলা দেয়, এমনকি আদালতের নিষেধাজ্ঞাও আদায় করে নেয়। অথচ সেই জমিতেই তারা এখনও দিব্যি ফার্ম চালাচ্ছে ও চাষাবাদ করছে। আবার গর্ব করে বলছে – “এটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি!”উক্ত জমির পরিমাণ প্রায় ১১৬ শতাংশ। মামলা নং – ১৩৭/২০১৮। খতিয়ান নম্বরও রয়েছে এস এ ৪৬৮ এবং আর এস ১৩২৫।
ভূমিতে সরেজমিনে গেলে মানবাধিকার কর্মীরা লক্ষ্য করেন, দখলকারীরা সাংবাদিক ও ক্যামেরা দেখে আচরণ পাল্টে শান্ত-ভদ্র সাজার চেষ্টা করে। পেছনে পেছনে ভিডিও করতে শুরু করে। আপত্তি জানালে বলে – “ভুল হয়ে গেছে!”
এলাকাবাসীর দাবি, প্রকৃত মালিক মিলন গংই। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের সালিশে পূর্বে রায় গিয়েছিল তাদের পক্ষেই। তারপরও তারা জমি পাচ্ছেন না।মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি জানান, কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে – মালিকানা প্রকৃতই মিলনদের। তারা বলেন, দখলবাজরা ভদ্রতার আড়ালে ভয়ংকর। দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার।
জনগণের প্রশ্ন – কবে মিলবে ন্যায্য অধিকার? আইনের শাসন কি মৃত?
ভূমি উদ্ধারে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ভূমিকা যেন একটি আশার আলো।
দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর অন্ধকারের পর, নতুন সূর্য কি দেখা দেবে?