শ্যামনগরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ৪ জন কে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে মাদক সেবনকারীরা
ইমাদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি ,
মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ৪ জন কে পিটিয়ে হাসপাতালের পাঠিয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আজাদনগর ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামে।
এলাকাবাসী ও এজাহার থেকে জানা যায় ২,৩,৪,৬,৭,৮ মাদক সেবনকারী ইত:পূর্বে একাধিক মাদক মামলার আসামি হিসাবে জেল হাজত খাটিয়া জামিনে আছে।আসামিদের চরিত্র আদৌ পরিবর্তন না হইয়া পূর্বের ন্যায় এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করিতেছে এবং ১,৫,৯,১০,১১নং আসামি সকল কাজের মূল হোতা/প্রশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করে।
আমি আসামিদের অসামাজিক কার্যকলাপ এর প্রতিবাদ করায় আসামিরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও খুন যখম করার হুমকি প্রদান করে আসিতেছে।
গত ২২/০৭/২৫ আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ১ থেকে ১১ নং আসামিসহ ৪/৫ জন অজ্ঞত যোগসাজশে হাতে ধারালো দা, জিআই পাই, বাঁশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে জনক নাসির উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ করতে থাকে ।আমি নিষেধ করিলে ১নং আসামি হুকুম দিয়ে বলে ওকে জীবনের তরে শেষ করে দে। ২ নং আসামির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে সজোরে আমার মাথায় আঘাত করে মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়। প্রশ্ন আসামির হাতে থাকা শাবল দিয়ে আমার হাটুর উপর আঘাত করে সাথে সাথে সেখানে কালো দাগ হয়ে যায়। আমার ভাই ঠেকাতে আসিলে আমার ভাইয়ের মাথায় ধারালো দাঁ দিয়ে আঘাত করে এবং তাকে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য উক্ত আসামীরা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জিআই পাইপ ও বাসের লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
এ ঘটনা দেখে আমার চাচাতো ভাই মিলন হোসেন ঠেকাতে আসিবে ডাকো গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে টেনে হিঁচড়ে গেটের বাইরে নিয়ে আমাদের মারতে থাকলে আমার স্ত্রী মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম ছুটে আসলে তার মাথা বরাবর লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে জি আই পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারতে থাকে । আমি চিৎকার চেঁচামেচি করলে আমাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আমাদের চেঁচামেচি শুনে সাক্ষী:
১।দোলন গাজী পিতা: পিয়ার আলী গাজী,২। মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন পিতা:ইন্তাজ আলী গাজী, ৩।
মঞ্জুয়ারা বেগম স্বামী: আজিজুল হক, ৪। আব্দুর রহিম পিতা: আজগর আলী গাজী উভয় সাং নৈকাটি থানা: শ্যামনগর,সাতক্ষীরা এগিয়ে আসলে আমার চাচা নাসির উদ্দিনের পাকা গেটের সাথে থাকা দোকান ভাঙচুর করে তাতে আনুমানিক ২,০০,০০০ লক্ষ টাকার অতি সাধন হয় ।তারা যাওয়ার সময় আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে যায়। উক্ত সাক্ষীগন আমাদেরকে গুরুতর আহত দেখে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।