ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি'র সংবাদ সম্মেলন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে একটি মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে চিঠি প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহর স্বাক্ষর ব্যবহার করে দক্ষিন সুরমা থানায় দায়ের করা মামলা থেকে ১৫ জন অভিযুক্তের নাম প্রত্যহার করতে বলা হয়। তবে, এরখম কোন চিটি থানায় জমা দেননি বলে দাবি করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.টিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে ওসমানীনগর- বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র আয়োজনে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী রশিদপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.টিএম ফখর উদ্দিন বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর দক্ষিন সুরমা থানায় মামলা থেকে ১৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার কোন চিঠি উপজেলা বিএনপি দেয়নি। কে বা কারা পেড,সীল ও স্বাক্ষর জাল করে এমন চিঠি থানায় পাঠিয়েছে। একটি মহল রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। চিঠি দেয়ার বিষয়টি একটি গনমাধ্যমের মাধ্যমে জনতে পারেন। ওই সংবাদেও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহর বক্তব্য সঠিক ভাবে প্রচার করা হয়নি। পরবর্তীতে ২২ জুলাই উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ সুরমা থাকায় লিখিত ভাবে ভূয়া চিঠির বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আব্দুল্লাহ মিছবাহ ২৫ জুলাই ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস.টি এম ফখর উদ্দিন বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ মাস চিঠির বিষয়টি গোপন রেখেছে। তাই আমরা এই চিটির বিষয়ে অবগত ছিলাম না। সংবাদ সম্মেলনে দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত