1. info@dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগমির বাংলা : দৈনিক আগমির বাংলা
  2. info@www.dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগামীর বাংলা :
শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক আগমির বাংলা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবায় করে হত্যা। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কিট প্যারেড অনুষ্ঠিত গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণ মামলায় নান্দাইলে গ্রেপ্তার ৩” গাজীপুরে  মফস্বল সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা: একদিনে একজন নিহত, আরেকজন আহত — বিএমএসএফ’র উদ্বেগ রাজিবদিয়ায় নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করছেন এলাকাবাসী বরাদ্দ নেই, তবুও থেমে নেই উন্নয়নের পথ বিড়াল দিয়ে বাঘের কাজ হবেনা: হুমায়ুন কবির ভালুকায় অপহরণের ১১ দিন পরও উদ্ধার হয়নি নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ভেড়ামারায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান। ময়মনসিংহ ও শেরপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি চালু অভাবের যুদ্ধে হেরে হাসপাতালেই ‘বন্দি’ হেলাল, প্রতিদিন বাড়ছে ১৫০০ টাকা”

অভাবের যুদ্ধে হেরে হাসপাতালেই ‘বন্দি’ হেলাল, প্রতিদিন বাড়ছে ১৫০০ টাকা”

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

“অভাবের যুদ্ধে হেরে হাসপাতালেই ‘বন্দি’ হেলাল, প্রতিদিন বাড়ছে ১৫০০ টাকা”

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকার এক পোশাক শ্রমিক মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪০) দীর্ঘদিন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার উপযোগী হলেও, বিল পরিশোধে অক্ষমতার কারণে এখনও ক্লিনিকে ‘অবরুদ্ধ’ অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিদিন তার নামে বাড়ছে অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা করে বিল।

হেলাল উদ্দিন ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের রাংচাপড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রয়াত রমজান আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের মাওনা এলাকার একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

গত ১১ জুলাই কর্মস্থলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রথমে তাকে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জুলাই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হেলালকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ না পেয়ে বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী নাছরিন সুলতানা মুক্তা ময়মনসিংহ শহরের সায়েম ডায়াগনো কমপ্লেক্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করান।

অগ্রিম টাকা ছাড়াই হেলালকে সেখানে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং তিন দিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর তাকে এসডিও’তে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ, তবে বিল পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়ছে না।

হেলালের স্ত্রী মুক্তা জানান, তাদের সংসার চলে হেলালের আয় ও তার টিউশনির টাকায়। সংসারে রয়েছে দুই ছেলে। বড় ছেলে সিলেট পলিটেকনিকে অধ্যয়নরত এবং ছোট ছেলে স্থানীয় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারটির একমাত্র সম্পদ মাত্র ৭ শতক ভিটের জমি।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে স্বামীর ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। এখন তাকে বাড়ি আনার মতো টাকাও নেই। বুধবার (০৬ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত বিল দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি দিনই ১ হাজার ৫০০ টাকা করে বাড়ছে।”

এ অবস্থায় মুক্তা দেশবাসী, সমাজের বিত্তবান ও মানবিক সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ক্লিনিকটির ম্যানেজার মনির হোসেন বলেন, “মানবিক কারণে হেলালকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি। সুস্থ হওয়ার পরও বিল পরিশোধ না করায় আমরা তাকে ছাড়তে পারছি না।”

এমন পরিস্থিতিতে অসহায় এক শ্রমজীবী পরিবারের জন্য মানবিক সহায়তা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© দৈনিক আগমির বাংলা
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট