"গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণ মামলায় নান্দাইলে গ্রেপ্তার ৩"
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গার্মেন্টস কর্মী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মামলার প্রধান অভিযুক্ত প্রেমিক মামুন মিয়া এখনও পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—শাকিল মিয়া (২৩), মমিন উদ্দিন (২৩) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৪)। তারা সবাই ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীও একই উপজেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় ম্যাজিক সোয়েটার নামক একটি গার্মেন্টসে কর্মরত।
র্যাব জানায়, কাজের সুবাদে ওই কিশোরীর সঙ্গে মামুন মিয়ার (২৫) পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৮ জুলাই রাতে গার্মেন্টস ছুটি শেষে মামুন তাকে রেস্তোরাঁয় খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নেয়। পরে মামুন ও তার তিন সহযোগী কিশোরীকে গাঙ্গাইল ইউনিয়নের উন্দাইল এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ২২ জুলাই নান্দাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল নয়মুল হাসান বলেন, “ঘটনার মূলহোতা মামুন মিয়া এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত