ভেড়ামারায় নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী নির্যাতিত।
মোহন আলী স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া জেলা।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার দলুয়া (স্কুলপাড়া গ্রামের নং-০৪ ওয়ার্ড), জুনিয়াদহ এলাকার মোছাঃ মরিয়ম খাতুন (২০), পিতা-মোঃ সবুজ আলী উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে নেশাগ্রস্ত স্বামী শাহিন শেখ (২৫), পিতা-মোঃ মহরম শেখ ও শাশুড়ি ০২। মোছাঃ শাহারা খাতুন (৫০), স্বামী-মোঃ মহরম শেখ, উভয় সাং-দলুয়া (স্কুলপাড়া; ওয়ার্ড নং-০৪), জুনিয়াদহ। মোছাঃ মরিয়ম খাতুন বলেন শাহিন শেখের সহিত আমার অনুমান তেরো মাস পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্বে একাধিকবার বিবাহ করার ঘটনার বিষয়ে আমাদের সুকৌশলে গোপন রেখে আমাকে বিবাহ করে যাহা আমরা বিবাহ পরবর্তী সময়ে জানতে পারি। মরিয়ম খাতুন আরো বলেন আমার স্বামী ও শাশু আমাকে আমার পিতামাতার বসত বাড়িতে যেতে দেয় না। পারিবারিক অশান্তির জের ধরে, ইং-০৬/০৮/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী শাহিন শেখ নেশাগ্রস্থ হয়ে, আমার শাশুড়ি প্ররোচনায় তাহার নিজ বসত বাড়িতে আমাকে অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ দেওয়া শুরু করে।
আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আমার স্বামী শাহিন শেখ আমার চুলের মুটি চেপে ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ডান চোখের উপরে স্বজোরে কিলঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আমি ডাক চিৎকার শুরু করলে আমার স্বামী শাহিন শেখ আমার মুখের উপরে স্বজোরে কিলঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত দাঁতভাঙ্গা জখম করে।
আমি প্রাণভয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে তাদের হাতে থেকে আত্মরক্ষায় ঘরের বাহির হয়ে ঘটনাস্থল সংলগ্ন আমার পিতার বাড়িতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে দৌড় শুরু করি।
শাহিন শেখ পড়ে থাকা বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে আমাকে ধাওয়া শুরু করে। আমি আমার পিতার উল্লেখিত ঠিকানাস্থ বসত বাড়ির গেইটের সামনে পৌঁছালে শাহিন শেখ তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার পিঠে, দুই পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে বেদনাদায়ক নীলাফোলা জখম করে। মোছাঃ মরিয়ম খাতুন সাংবাদিকদের বলেন আমি ভেড়ামারা থানা লিখিত অভিযোগ করেছি, আমি জানি আইন সবার ঊর্ধ্বে আইনের মাধ্যমে তার বিচার হোক।