সালথায় রামকান্তপুর গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে একাধিকবার চুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে
মোঃ ইলিয়াছ খান
সালথা ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে সালথা উপজেলা রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হাসান (৩৭) নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে ৭ থেকে ৮ বার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুক্তভোগী আবুল হাসান শেখ বলেন, আমি একবার মানুষের বাড়ি কাজ করে কিছু ধান এবং নগদ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসি তখন আমার ঘর চুরি হয়ে যায়, দ্বিতীয়বার আবার আমার ঘর চুরি হয় , দ্বিতীয়বার আমার এক ভরি স্বর্ণ এবং নগদ এক লাখ টাকা ঘর থেকে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়, এভাবে করে একাধিকবার আমার ঘর চুরি হয়েছে, সর্বশেষ আমার এবং আমার পিতা মোঃ লাখো শেখ অনেক কষ্ট করে এবং ধার দেনা হয়ে, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আমি প্রবাসী চলে আসি আসার পর আমার ঘর থেকে আবারো চোরেরা চুরি করে সব কিছু নিয়ে যায়, আবুল হাসান বলেন আমার থাকার মত কোন জায়গা জমি নেই টাকার অভাবে জীবন চালাতে না পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি প্রবাসে পাড়ি জমাই, আমার একটা ছেলে এবং একটা কন্যা সন্তান রয়েছে, চুরি হওয়ার দিন আমার স্ত্রী আমার দুই সন্তান নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তারা তিনজনেই মারাত্মক অসুস্থ, তারি সুযোগ নিয়ে আমার এবং আমার পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে সবকিছু চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি একাধিকবার আমাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বলেছি এমন কি অপরাধ করেছি আমি যে যার কারণে আমার ঘর বারবার চুরি হচ্ছে, আপনারা দয়া করে এই সকল চোরদেরকে ধরে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে এ তো আমি কোন ফলাফল পাইনি, সর জমিনে গিয়ে দেখা যায় আবুল হাসানের মাটির ঘর হতে চোরারা সহজেই সিং কেটে ঘরে প্রবেশ করে এবং সবকিছু নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আবুল হাসানের মায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আল্লাহ ছাড়া আমাদের দেখার মত দুনিয়াতে বুঝি আর কেউ নেই। আবুল হাসানের বাবা লাখো শেখ বলেন, আমার জীবনে যা কিছু উপার্জন করেছিলাম সবকিছু দিয়ে ছেলেকে প্রবাসে পাঠিয়েছি এখন থাকার মত জায়গাটুকু আমার নেই, আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্যরা অন্যের জায়গায় বসবাস করতেছি, মনে অনেক বড় আশা নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে ছিলাম , কারণ সে টাকা পাঠাবে পরবাসী থেকে তারপরে জমি কিনে আমরা ঘর দরজা করব। কিন্তুু সেটা মনে হয় আর সম্ভব হবে না তার কারণ আমার ছেলে বিদেশে থেকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে টাকাটা পাঠায়, এবং সেই টাকাটা মানুষের ধার দেনা দিতে দিতে শেষ হয়ে যায়, আর বাকি যে টাকাটা থাকে সেগুলো তো একাধিকবার চুরি হয়ে গেলো, আমার প্রশ্ন তাহলে আমরা এখন কি করবো আমাদের তো মরণ ছাড়া কিছুই আর বাকি নেই। প্রবাসী আবুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং তিনি বলেন,এই দোষীদের কে অবিলম্বে সিনাস্ত করে আমাদেরকে বাড়িতে থাকার একটু সুযোগ করে দিন এটা আমার এলাকাবাসীর কাছে দাবি, এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি যারা আছে তাদের কাছে দাবি। এ ব্যাপারে আবুল হাসান শেখ এর কাছে জানতে চেয়েছি আপনি কি প্রশাসনের সহযোগিতা চাননি তিনি বলেছেন, যে আমার এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং মাতুব্বরদের কাছে আমি বলেছি, এর কারণ আমার বাড়িতে আমার বাবা বয়স্ক মানুষ সে এসব কিছু বুঝবে না বলেই আমি এলাকাবাসীর কাছে জানিয়েছি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে সকল ব্যক্তিরা এলাকার বখাটে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি রাস্তায় নিয়ে আসুন তাহলে আমার মনে হয় আমার মত এত বড় ভুক্তভোগী আর কেউ হবে না, রামকান্তপুর ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করতেছি এই ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত আছে তাদেরকে সিস্তত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।