অভয়ার মা-বাবার আওহ্বানে, নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে-- পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ৯ ই আগস্ট শনিবার, ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ, রাখি বন্ধন উৎসবের পরেই, অভয়ার মা-বাবা উপস্থিত হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, ডরিনা ক্রসিং থেকে অভয়ার মা-বাবাকে নিয়ে নবান্ন অভিযান যাত্রা শুরু হয়। মিছিলের প্রথম ভাগে ছিলেন, অভয়ার বাবা-মা সহ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য নেতা নেতৃবৃন্দ, তাদের দাবী অভয়ার ন্যায় বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অগ্নিমিত্রা পর, শঙ্কু দেব পান্ডা, অর্জুন সিং, সজল ঘোষ, তমগ্নো ঘোষ সহ বহু নিয়ে নেতা ও নেতৃবৃন্দ,
সকাল থেকেই ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিংহ ও রানি রাসমণি রোড সহ, হেস্টিংস, পার্ক স্টিট মোড়, সাঁতরাগাছি, জিটি রোড, হাওড়া লক্ষীনারায়নতলা, বাতাইতলা, ফোরশোর রোড, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রীজ, প্রভৃতি জায়গায় লোহার উঁচু গার্ড ওয়াল লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি জায়গাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ ফোর্স ,ড়্যাফ, জলকামান, ফোরটি এফটি কন্টেইনার, প্রস্তুত রাখা হয়। যাহাতে কোনোভাবেই ব্যারিকেট ভেঙে পৌঁছাতে না পারেন। শুধু তাই নয়, মাইকে বারবার ঘোষণা করা হয় হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কোনরকম উত্তেজনা না ছড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার, প্রতিটি গাডোয়ালের সামনে পোস্টার দিয়ে বেশ কিছু আইনি সাবধানতা লেখা ঝুলিয়ে দেন।
বেলা বারোটা নাগাদ উপস্থিত হন বহু সাধু সন্ততিরা, তাহাদের সঙ্গে নিয়ে, মিছিল হঠাৎ রানী রাসমনির দিকে নাগিয়ে , দিক পরিবর্তন করে, দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রাকৃতিকের দিকে রওনা দেন, মাঝে পুলিশ অফিসারেরা আটকালে ও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, বাধা টোপকে আর মা-বাবাকে নিয়ে পাঁচটির মোড়ে ব্যারিকেডের সামনে যখন পৌঁছায় পুলিশ তাদের মিছিল আটকে দেন, শুরু হয় ব্যারিকেড ভাঙার কাজ, একের পর এক যখন পার্টির সদস্যরা ভাঙতে শুরু করে, সেই মুহূর্তেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়, লাঠিচার্জের ফলে কিছুটা ছত্রভঙ্গ হলেও পুনরায় তারা ব্যারিকেডের সামনে এসে জমায়েতন।
পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে, বেশ কয়েকজন গুরুতর আঘাত পান, অভয়ার মায়ের মাথায় আঘাত লাগে এবং হাতের শাঁখা ভেঙে যায়, শুধু তাই নয় কয়েকটি মহিলার হাত ভেঙে যায় , কয়েকজনের মাথা ফেটে গিয়েছে, এমনকি, সাধুদের গায়ে ও হাত তুলতে দ্বিধা করেনি। একটি সাধুর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন, এদেরকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়, এমনকি পুলিশ প্রশাসন প্রিয় পতাকা টেনে ফেলে তার উপর পা মারান, ফলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে দলনেতা থেকে শুরু করে সদস্যরা, শুধু তাই নয়, তোদের অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে যেতে চাইলে, রাস্তা আটকে দেন, বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর ও তোদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের রাস্তা ছাড়েন। দলের নেতারা বলেন, যেভাবে পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, একই চার্জ করেছে, এটা প্রশাসনের কাজ নয় গুন্ডাদের কাজ, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের নামে গুন্ডা পুষেছেন, তাই শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করেছে এর জবাব দিতে হবে। আমরাও তৈরি থাকছি, বেশি দিন নয়, আমরাও মার্ক করে রেখেছি, তার বিচার হবে,
আরজে পুলিশ অফিসার, জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছে, পা দিয়ে লাথি মেরেছে, তাদেরকে আমরা ছাড়বো না, কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছাড়বো,
এরপর পুলিশের সামনে, পার্টির সদস্যরা, বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, পুলিশ দালালদের সতর্ক করে দেন, একদিন আপনাদের মেয়েও বড় হচ্ছে, তার সাথে সাথে বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কেউ উদ্দেশ্য করে, ডাইনি, অত্যাচারী, খুনি, ধর্ষণকারী, দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যান, চুড়ি পড়ে চলে যান, এর সাথে সাথে একইভাবে পুলিশদের উদ্দেশ্য বঞ্চনা করেন।, এই দালালি বেশিদিন থাকবে না, এইসবের হিসাব আমরা নেব।
নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে বাধা পেয়ে, সমস্ত নেতা মন্ত্রীরা, সামনেই বসে অবস্থান বিক্ষোভ চালান, বেলা চারটে পর্যন্ত, ঠিক চারটের সময়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আজকের মত এই নবান্ন অভিযান সমাপ্ত করেন, এবং তিনি ওখান থেকে সোজা চলে যান অভয়ার মাকে দেখতে, কারণ তিনি বললেন উনার দায়িত্ব আমাদের, তাই আগে ওনার কাছে যাওয়া উচিত, তাহার পর সমস্ত হিসাব নেবো, সকল সদস্যদের জানিয়ে যান, আপনারা সমস্ত কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন, এবং কর্মীদেরও শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাওয়া নির্দেশ দেন। আর একটা কথা সর্বশেষে জানালেন যতদিন না, অভয়ার ন্যায়বিচার হচ্ছে, আমরা অভয়ার পরিবারের পাশে আছি,
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত