২২ দফা সালিশ করে ও রায় মিলেনি সাংবাদিক ফজলু মিয়ার
ওসমানীনগর প্রতিনিধি ::
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এক সালিশি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বড় ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাংবাদিক মোঃ ফজলু মিয়া। তার অভিযোগ, প্রতিপক্ষ কেবল সালিশি রায় কার্যকর করতে গড়িমসি করছে না, বরং তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা, মানসিকভাবে নিপীড়ন এবং প্রাণনাশের হুমকিতেও জড়িত।
ফজলু মিয়া জানান, ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর ওসমানীনগর থানার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এক সালিশি বৈঠকে পারিবারিক সম্পত্তি, আর্থিক লেনদেন ও সম্পর্ক উন্নয়ন সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর অংশ হিসেবে স্থানীয় মল্লিক মিয়া ও তার পিতা ১০ শতক জমি রেজিস্ট্রির মাধ্যমে তার নামে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ‘মিথ্যা অপবাদ’ ও ‘অশালীন প্রচারণা’ চালিয়ে সেই সিদ্ধান্ত ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়।
তার দাবি, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি—যাদের মধ্যে মল্লিক মিয়া, নেওয়াজ মিয়া, মনোয়ারা বেগম, ডেসমিন বেগম ও ঐলাতুন নেছা—একত্রে তাকে ‘পাগল’ ও ‘মাদকাসক্ত’ আখ্যা দিয়ে কুৎসা রটায়। এমনকি অতীতে তাকে জোরপূর্বক এক মাদক নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়, যদিও তিনি শুধুমাত্র ধূমপায়ী ছিলেন এবং কোনো মাদকাসক্ত ছিলেন না। এ ছাড়া সৌদি আরব ও ওমান থেকে তার নামে বিভ্রান্তিকর বার্তা পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
“গত এক বছরে ২২ বার সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে। সর্বশেষ ৪ আগস্টের বৈঠকেও কোনো সমাধান হয়নি,” বলেন ফজলু মিয়া। তার আশঙ্কা—যদি তিনি এলাকায় অবস্থান করেন, প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটতে পারে।
বর্তমানে তিনি নিজের ঘরে রাখা TV ONE UK-এর ভিডিও ক্যামেরা ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ফেলে রেখে এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। উল্লেখ্য, তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম TV ONE UK-এর প্রতিনিধি এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সিলেট-এর ওসমানীনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক ফজলু মিয়া সিলেট জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং দ্রুত সালিশি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি অভিযুক্তদের নাম, যোগাযোগ নম্বর ও সালিশদাতাদের তথ্যও জমা দিয়েছেন
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত