কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক সমিতির উদ্যোগে, অশালীন ভাষার বিরুদ্ধে- সাংবাদিক সম্মেলন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১৩ ই আগস্ট বুধবার, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্ববরতন পুলিশ অফিসারদের অশালীন ও কটু মন্তব্য করায়, তাহার প্রতিবাদে কলকাতা প্রেসক্লাবে, ১২ই আগস্ট ঠিক দুপুর তিনটায়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ আবাসিক সমিতির পরিবারেরা, একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের পরিবারেরা।
তাহারা বলেন পুলিশ কর্মীদের উপর যে কোন আক্রমণ আমাদের ব্যথীত করছে। ৯ই আগস্ট নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতা কলকাতার মাননীয় নগর পাল কে উদ্দেশ্য করে অসামাজিক ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। তাহারা বলেন , একজন পুলিশ আধিকারিক হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুরে মাওবাদী কার্যকলাপ দমন করেছিলেন, ২০১৭ সালে গোর্খা ল্যান্ডে মুভমেন্টের সময় সাফল্যের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করেছিলেন, 2019 সালে নির্বাচনে পরবর্তী সময়ে ব্যারাকপুরের অস্থির পরিস্থিতি সাফল্য সাথে মোকাবিলা করেছিলেন, এইরকম কৃতিত্বের অধিকারী কলকাতা পুলিশ কর্মীদের অভিভাবক মাননীয় নগর পালকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের কদর্য্য ভাষায় ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা পুলিশ পরিবারের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।।
তাহারা আরো বলেন নাম না করে, নিচের বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মিছিল থেকে যেভাবে আমাদের পুলিশ কর্মচারীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে তার আমরা নিন্দা করছি।, এমনকি কনস্টেবল প্রশান্ত পোদ্দার এর মাথায় মেরে প্রাণ নাসের ও চেষ্টা করা হয়েছে।, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন সেই সকল দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি,
তারা বলেন, প্রায় শোনা যায়, যেকোনো মিছিলে, আমরা দেখতে পাই, … পুলিশের মা বিক্রি বউ বিক্রি, … যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঢু শু , বা যা করার করব, পুলিশ ভি মার খায়েগা বহুত ধোলাই হোগা, তাও শুনতে পাওয়া যায় এদেরকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে রেখেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।, পুলিশ তুমি চিন্তা করো তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়।
এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য সীমা অতিক্রম করছে, সমাজকে দূষিত করছে বলে জানায়। তাহারা আরো বলেন, ভবিষ্যতে যারা উর্দিধারী পুলিশ কর্মচারীদের জুতো বা চটি দেখাবেন অথবা অকথ্য ভাষায় কথা বলবেন আমরা পুলিশ পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো, বিশেষ করে ,যারা জুতো বা চটি দেখাবেন, তাদের প্রত্যেকের বাড়ির সামনে আমরা আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়বো।
এছাড়াও বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কলকাতা পুলিশ নানা ভাবে সমস্যায় পড়ছে ডিউটি করতে গিয়ে, আমার স্বামী, আমার ভাই, আমার দাদা, আমার মেয়েরা, তারা প্রাণের ভয় পাচ্ছেন। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তাদের প্রতিবাদ শোনার পর সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেন, ৯ই আগস্ট এর ঘটনা তুলে, কেনো অভয়ার মাকে লাঠি দিয়ে মারা হলো, কেন প্রশাসনের লোকেরা জাতীয় পতাকে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়েছেন, আপনাদের জানা আছে, জাতীয় পতাকায় লাথি মারলে তিন বছরের পর্যন্ত জেল হতে পারে দোষীদের, এর সাথে সাথে অনুব্রত মন্ডলের কথা তুলতেই প্রেস ক্লাবে উত্তেজনা ছড়ায় উভয়ের পক্ষে, পরিবারের লোকদের প্রশ্ন করা হলে যে অনুব্রত যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, মা বোন তুলে কথা বলেছেন,তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন না কেন, কেন তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন না, সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে জানান আমরা এখানে রাজনীতি করতে আসি না, আর অনুব্রত মণ্ডল যদিও বলে থাকে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন, সাথে সাথে সাংবাদিক বন্ধুরা বলেন তার মানে ক্ষমা চাইলেই সব শেষ, যেকোনো ঘটনা ঘটলেই যদি সে ক্ষমা চেয়ে নেয় তাহলে বেকুসুর খালাস এটাই আপনারা বুঝাতে চেয়েছেন।, এতগুলো যে ঘটনা ঘটলো আপনারা কবে প্রতিবাদ করেছেন, আজ দোষী অনুব্রত নতুন পথ পেয়ে গেল, তাকে নিয়ে জামাই আদর করছে, আপনারা একবারও তার কথা বলছেন না। ও প্রতিবাদ করছেন না, এই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা আর ও চরণে উঠল প্রেস ক্লাবে, সদ উত্তর দিতে না পারায়, মিটিং ছেড়ে একে একে বাইরে বেরিয়ে আসেন, এবং কোনোভাবেই সংগঠনের কোন পরিবারের নাম তারা বলতে চাননি, এই মঞ্চে যারা উপস্থিত হয়েছিলেন,
একটি কথাই বুঝিয়ে দিলেন, দোষ করে যদি ক্ষমা চাই, তাহলেই সাত খুন মাফ,