মুক্তাগাছায় ৩৫০ টাকা বাকির ঘটনায় অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মাত্র ৩৫০ টাকা বাকির ঘটনায় ফাহিম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সজিব মিয়াসহ তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা ছাত্রদল। এ ঘটনায় নিহতের মা রুবি আক্তার বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মুদির দোকানদার রাসেলের কাছে মজনু মিয়ার ছেলে ইয়াছিনের ৩৫০ টাকা বাকি ছিল। এ নিয়ে দোকানদার ও ফাহিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে দোকানদারের পক্ষ হয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সজিবের নেতৃত্বে একদল যুবক ফাহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে স’মিলের কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। এসময় ফাহিমের চাচা, দাদী, বোন ও চাচাতো ভাইও মারধরের শিকার হন।
গুরুতর আহত ফাহিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার(১২ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যায় জালালপুর-মুক্তাগাছা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম ও মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার নয় মাসের মেয়ে বাবার জন্য পাগল হয়ে থাকে। এখন কে তার কান্না থামাবে, কে তাকে দুধ কিনে দেবে? বিনা দোষে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে, আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।”
মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল হক আরিফ জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সভাপতি সজিব মিয়া, কর্মী আবির ও মারুফকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, “দোকানের বাকি টাকা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”