সাভারে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ ২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল সম্পন্ন চ্যাম্পিয়ন জড়নড় লাইফ, যুক্তরাষ্ট্রে গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে
মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ
সাভারের বিরুলিয়ার দত্তপাড়া এলাকায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ ২০২৫’-এর বহুল প্রতীক্ষিত গ্র্যান্ড ফাইনাল। দেশের উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডিপার্টমেন্ট।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত সেরা ১৫টি স্টার্টআপ দল অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ প্রস্তুতি ও বিভিন্ন ধাপ অতিক্রমের পর গ্র্যান্ড ফাইনালে জড়নড় লাইফ দল চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করে। প্রথম রানার আপ হয় উই গ্রো এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয় রকেট ওয়েব।
বিজয়ী দলকে ৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি তারা সুযোগ পাবে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার। সেখানে তারা বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পুরস্কারের জন্য পিচ করার সুযোগ লাভ করবে।
এছাড়া, প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকা প্রথম ১০টি দলকে বিশেষ নেটওয়ার্কিং সেশনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী ও রানার আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি’র চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. আর. কবির এবং প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল।
এই প্রতিযোগিতার কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের প্রথম ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ বিভাগের প্রধান মো. কামরুজ্জামান দিদার। গ্র্যান্ড ফাইনালে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক বিচারকদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের পার্টনার মি. উইলিয়াম রেইকার্ট।
স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ ২০২৫ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি দেশের উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপনের একটি সোনালী সুযোগ। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলায় বড় ভূমিকা রাখবে।