২২ শে আগস্ট মোদি জীর কলকাতা সফর ও মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন ঘিরে, জনসভার আয়োজন
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২১শে আগস্ট বৃহস্পতিবার, ২০ শে আগস্ট বুধবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, চৌরঙ্গী মন্ডল টু, নর্থ কলকাতার উদ্যোগে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার লেবু তোলার সংযোগস্থলে, মোদি জীর জনসভায় দমদম চলো বার্তা দিতেই এই সভার আয়োজন।
এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এলাকার সবার প্রিয় মানুষ ও কাউন্সিলর সজল ঘোষ, নর্থ কলকাতার ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট তমগ্ন ঘোষ , উপস্থিত ছিলেন সবার অভিভাবক প্রিয় নেতা ও লড়াকু নেতা তাপস রায়, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং, হরি মিশ্র, কৌশিক চ্যাটার্জী, দেবাশীষ পাইন, প্রমোদ সিং, কাউন্সিলার শ্রীমতি মীনাক্ষী পুরকাইত, ভোলা সরকার, চিত্তরঞ্জন দে, কালী কটিক, লড়াকু নেতা সুবোধ সহ অন্যান্য নেতা ও নেতৃবৃন্দ।
সব শুরুর আগে মঞ্চে উপস্থিত সকলকে উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন, প্রায় কয়েকশো ভারতীয় জনতা পার্টি সদস্যরা এই সভায় উপস্থিত হন।
সভা শুরু প্রথম থেকেই তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে, অরাজকতা, মিথ্যাচার, চাকরি চোর, টাকা চোর, ধর্ষণকারী, বলে অ্যাখ্যা দেন,
বলেন যিনি নিজেকে বলেন, মা মাটির মানুষ, মেয়েদের চলার পথ, সেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ খুন অত্যাচার ঘটে চলেছে, আর উনি পুলিশ মন্ত্রী হয়ে, অপরাধীদের আড়াল করার জন্য, নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে মার খাওয়াচ্ছে, এর চাইতে বড় লজ্জা কি, তার সাথে সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ববি হাকিমকে এক চোট নিলেন, চোরের রাজত্বে, সাধু সাজছে, চোরেদের ভয় আছে বলে, এস আই আর নিয়ে এত বিরোধ, এবার দেখতে থাকুন, কোথায় পালিয়ে বেড়াবেন, একে একে সবকে জেলে ভরবো, কোন নেতাই ছাড়া পাবে না। যিনি দেড় কোটি মানুষের জনক, তাহাকে দেশ চালানোর জ্ঞান দিচ্ছে, কোন টা অন্যায় কোনটা সঠিক।
খেলা ,মেলা, ভোট চুরি কোনটাই বাদ নাই।, মৃতদের ভোট দিয়ে নিজেদের বাহবা কুড়ানো, এবার দেখবো ২৬ এ , কি করতে পারে। সব রোহিঙ্গাদের খুঁজে খুঁজে বার করবো।
সবাই প্রত্যেক নেতাও নেত্রীরা একইভাবে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সরকারকে, যার নেত্রী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী বলেন , এবার খেলা দেখাবো আমি, ক্ষমতা থাকলে আমার নামে কেস দিতে পারে, একটাকেও ছাড়বো না, শিক্ষা দীক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে, পুজোর অনুদানে মেতে উঠেছে, অথচ যোগ্য শিক্ষকরা আজও আন্দোলন করে চলেছে, ছেলে মেয়েরা এখনো স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি, নির্লজ্জ বেহার মতো ভুরি ভুরি মিথ্যা কথা বলে কোটি কোটি টাকা ভাইপোর মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে, আর প্রাণের ভয় আছে বলেই এস আই আর নিয়ে প্রতিবাদ করছে, বাংলা ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ করছে, আমি একটা কথা বুঝিয়ে দিতে চাই, আপনার যে সকল ডিপার্টমেন্টে বড় বড় পদে দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন, তাহারা কোন দেশের, কোথাকার লোক, এস আই আর ও বিল পাস করতে এত ভয় কিসের।
আপনারা জেনে গেছেন যে আইন পাস হচ্ছে, কেউ ছাড়া পাবার নয়, শুধু তাই নয় তাদের যদি ৩০ দিন জেল হয় তাদের সমস্ত পদাধিকার পথ চলে যাবে। কোটি কোটি টাকার হিসাব আজও দিতে পারেননি, সরকারি কর্মীদের ডি য়ে দেয়ার ক্ষমতা নাই, ২৬০০০ শিক্ষকের চাকরি গেছে, আরো ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি টলোমলো, তাদের কোন ব্যবস্থা না করে, কোটি কোটি টাকার পুজোতে অনুদান দেওয়ার জন্য ঘোষণা করছে, আর যে মেয়েদের কন্যাশ্রী প্রার্থনা করেছিলে, সেই মেয়েদের উপর অত্যাচার ধর্ষণ খুন করে তাদের দোষীদের আড়াল করছেন এর চাইতে বড় লজ্জা কিসের, বিনা কারণে ডাক্তারদের হয়রানি ও কেস দেয়া হচ্ছে, আর এই কটা মাস করে যান, আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে, যাবার রাস্তা তৈরি হচ্ছে,
২২ শে আগস্ট মোদি জী আসছে কলকাতায়, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রো রেল সম্প্রসারণ করতে, তাই সকল সদস্যদের বলবো দলে দলে দমদম জেল খানা মাঠে উপস্থিত হন, জয় শ্রীরাম জয়ধ্বনিতে ভরিয়ে তুলুন, আর এখান থেকেই প্রতিজ্ঞা করুন, ২০২৬-এ দেশ বাঁচাতে, শত্রুদের নিধন করতে, বিজেপি জিতছে জিতবে,খুন ধর্ষণকারী, অত্যাচারী, টাকা চোর ,কয়লা চোর, গরু চোর, বালি চোর , শিক্ষা চোর সরকারের আর পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই নাই, সাধারণ মানুষ বুঝতে শিখেছে, মাঠে প্রতিবাদ করতে নামছে, তাই সকলকে বলবো, আর নেই ভয় জোট বাঁধো, নবান্ন চোদ্দ তলা থেকে রাস্তায় নামিয়ে আনো,।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত