কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী পা রাখলেন, নতুন মেট্রো রেল উদ্বোধন ও জনসভায়।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ২৩শে আগস্ট শনিবার, ২২ শে আগস্ট শুক্রবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখলেন এবং মেট্রো শুভ সূচনা করলেন ও তাহার সাথে সাথে সেন্ট্রাল জেল গ্রাউন্ডে একটি জনসভা করেন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নেতা ও নেতৃবৃন্দ প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই চারটে পনেরই জেসর রোড মেট্রো স্টেশনের শুভ সূচনা করলেন ফ্লাগিং এর মাধ্যমে, চারটে পনেরো শুরু হয় সেন্ট্রাল জেল গ্রাউন্ড দমদমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, পাঁচটা ত্রিশে একটি পাবলিক জনসভা করলেন।
পেট্রোলের সম্প্রসারণ হয়, নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ বিমানবন্দর , শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণ, ঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মেট্রো স্টেশন, হাবরা টার্মিনাল ইস্টার্ন রেলওয়ে সম্প্রসারণ, ওরা মেট্রো স্টেশনে ফ্লাগিং ইত্যাদি।
লক্ষ্য একটাই প্রধানমন্ত্রীর, বিজয় সংকল্প পরিবর্তনের।
প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা আসা কে কেন্দ্র করে, নিরাপত্তা ছিল হাটোসাটো বিমানবন্দর থেকে যেসব রোড ও সভাস্থল পর্যন্ত, ওই যে একাধিক আইপিএস অফিসার, র্যাফ, এস পি জি কন্ট্রোল, কমিশনারের যে সকল নিরাপত্তা, উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মুরোলী ধর শর্মা,
দমদম থেকে রাস্তা ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রবেশ করবেন সেই রাস্তার দু’ধারে হাজারো হাজারো মানুষ অপেক্ষা করছেন এবং মোদিজীর ফটো সহ ব্যানার নিয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছেন, মোদী জী স্বাগতম। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও তারা এতটুকু অধৈর্য্য হননি, একবার দেখার জন্য তারা ভিজে অপেক্ষা করছেন।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি , ভাসন শুরুর আগেই, সকল পশ্চিমবঙ্গ বাঁশি ও ভারতবাসীকে প্রণাম ও ভালোবাসা জানালেন, এরপর দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির, কালীঘাটের কালী মন্দির, শ্রী শ্রী একশ ওয়াট করুনাময়ী কালী মন্দির, দমদম বালাজি হনুমান মন্দির, রামকৃষ্ণ সেবা মন্দির একাধিক মন্দিরের দেবতাদের তিনি কটি প্রণাম জানালেন। তিনি বলেন আজ কৌশিকী অমাবস্যা, সকলকে তরফ থেকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন পশ্চিমবাংলায় দুর্গাপূজো শুরু হয়ে গেছে।, কুমারটুলিতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা, কলকাতার নামিদামি মলে মানুষের সমাগম কেনাকাটায়,
পর একে একে জনগণের সামনে পশ্চিমবাংলার অবস্থা তুলে ধরলেন, এবং বললেন পশ্চিমবাংলা যদি ভারতকে সমর্থন না করে, এবং পশ্চিমবাংলার সমর্থন না মিলে, পশ্চিমবাংলায় কোনদিনও উন্নতি হবে না এবং ভারত যাত্রা ও সফল হবে না, যদি জনগণ সমর্থন করে, বিজেপিকে পশ্চিমবাংলায় আনতে চায়, তবেই বিকশিত ভারত গড়ে উঠবে, পশ্চিমবাংলা একটা বড় রাজ্য, ১১ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবাংলাকে ভিন্নভাবে সাহায্য করার ও যাহাতে উন্নতি সাধন হয়,
পশ্চিমবাংলায় উন্নতির নামে চলছে, কেডারদের পিছনে খরচা , পশ্চিমবাংলায় এতটুকু বিকাশ হয়নি, আজ পশ্চিমবাংলায় ন্যাশনাল হাইওয়ের জন্য আগের থেকে তিনগুণ হারে টাকা দেয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যে সকল টাকা নিয়েছে, সেই টাকা এতটুকুও খরচা হয়নি।, অন্য রাজ্যের থেকে পিছিয়ে,
তাই বলি, এবার জাগার পালা, বাঙালি জাগো, ওঠো নবজীবনের গান গাও, জাগাও প্রাণে প্রাণে, জাকির আপনারা ১৫ বছর ধরে ভরসা করেছিলেন, মা মাটি সরকার, পাশে থেকে কাজ করবে, সেই সরকার আজ দুর্নীতিতে শেষ, তাই সবাই জেগে উঠো, টিএমসি কে হটাও, বিজেপিকে আনো, আর পশ্চিমবাংলায় উন্নয়নের জোয়ার গড়ে উঠুক, ঘটুক পশ্চিমবাংলায় পরিবর্তন,
তবে মেট্রোরেল সারা কলকাতায় চালু হওয়ার ফলে, প্রতিদিনের যাত্রী থেকে শুরু করে, সাধারণ মানুষ, এমনকি চাকরিজীবী মানুষ, অনেক উপকৃত হবেন, শুধু তাই নয়, জল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সময় বাঁচিয়ে দিল এই মেট্রোরেল সম্প্রসারারণে, মেট্রোরেল চলার আগে মানুষকে ট্রামে বাসে অনেক দুর্ভোগ পোয়াতে হতো, আজ সেই দিন শেষ।