মধুপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করায় নির্যাতন
মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের পালবাড়ী এলাকার আব্দুল গনীর বাড়ীতে বিয়ের দাবী নিয়ে অনশন করল একই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম এর মেয়ে আমিনা বেগম।
তার বোন রহিমা জানান তাদের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্পর্ক চলে আসছিল। আজ সকালে বিয়ের দাবীতে বাড়ীতে গেলে আব্দুল গনী তাকে মারপিট করে বের করে দেয় এবং টেনে হেঁচড়ে আমাদের বাড়িতে এনে ফেলে রেখে যায়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পালবাড়ি গনি মিয়ার খামার বাড়িতে।
ভুক্তভোগী জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি আমার এক ছোট ছেলেকে নিয়ে শশুরবাড়ীতে বসবাস করি। আমি এক বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে চাকরি করি। মাঝে মধ্যে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে গনি মিয়ার দৃষ্টি পড়ে আমার উপর। আমার বাপের বাড়ি যাওয়ার পথে তার একটি পল্ট্রি ফার্ম রয়েছে সে আমাকে মাঝে মধ্যে সেখানে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতো। আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে পল্ট্রি ফার্মের সাথে বাড়ি করে দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। এক পর্ষায়ে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। সে কথা মতো পল্ট্রি ফার্মের সাথে হাফ বিল্ডিং করে বাড়িও করে কিন্তু আমার ছোট ছেলে বড় না হওয়া পর্ষন্ত বিয়ে করবেনা বলে জানায়।
তাতে আমিও রাজি হই এবং আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মতো সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে আমার ছেলে বড় হলেও সে বিয়ে নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সে বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিষয়ে আমার ছেলে সহ শশুরবাড়ীর লোকজন জেনে ফেলে। এখন আমি উপায়ান্তর না দেখে প্রায় ২মাস আগে গনিকে সব কিছু খুলে বলি এবং আমাকে বিয়ে করতে বলি। সে তার পর থেকেই আমার ফোন নম্বর ব্লাক লিস্টে ফেলে রেখেছে। সর্বশেষ আজ সকালে আমি বাধ্য হয়ে তার খামার বাড়িতে গেলে সে আমাকে মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং টেনে হেঁচড়ে আমার বাবার বাড়িতে ফেলে আসে। পরবর্তীতে আমার মা আমাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
আমার সাথে সম্পর্ক হওয়ার আগেও আওয়ামী সরকার থাকাকালীন সময়ে সে আরও একটি মেয়ের সংসার ভেঙ্গেছে। সে মেয়েটিও এলাকায় বিচার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেয়। সে মামলায় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে জামিনে বেড়িয়ে এসে আমাকে সে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে। আমি প্রশাসনের কাছে এর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।