প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে কুমারটুলীতে গণেশ ঠাকুরের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত….. কুমারটুলীর মৃৎশিল্পীরা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৪ শে আগস্ট রবিবার, মাঝে আর দুটো দিন বাকী, গণেশ চতুর্দশী অর্থাৎ গনেশ পুজো। তাই কুমারটুলীতে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে একদিকে যেমন মৃৎ শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে প্রতিমা সামলাতে ব্যস্ত, তেমনি গণেশ ঠাকুরের কাজ শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কুমারটুলীর মৃৎশিল্পীয়া, কিছু কিছু ছোট ছোট গণেশ ঠাকুরের কাজ শেষ হলেও, ক্লাব কর্তৃপক্ষ যে সকল বড় বড় গণেশ ঠাকুর অর্ডার দিয়েছেন সেই গুলির কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি, থাকতে থাকতেই বৃষ্টির ফলে, কোন ভাবে তিরপল দিয়ে প্রতিমাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন, শিল্পীরা বলেন কী করবো, টানা বৃষ্টির ফলে অসুবিধায় পড়েছি, তবুও চেষ্টা করছি কালকের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার, কারণ ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রতিমা নিতে কালকে চলে আসবেন,
একদিকে যেমন কুমারটুলীর শিল্পীরা কাজ শেষ করতে ব্যস্ত, অন্যদিকে কুমারটুলীতে ভীড় জমিয়েছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা ও পরিবারেরা।
তাহাদের পছন্দ সই গণেশ ঠাকুর নেওয়ার জন্য। আবার চোখে পড়ে বেশকিছু মহিলাদের পুজোসু্ট করতে, দুপুর থেকেই বেরিয়ে পড়েছে সেজে গুজে কুমারটুলীতে। যে যার মত ছবি তুলতে ব্যস্ত।
তবে কুমারটুলি শিল্পীদের কাছে জানা গেল, এবারে আমাদের গণেশ ঠাকুর অনেকটাই বেশি অর্ডার হয়েছে।, এবং গণেশ পুজো আগের থেকে একটু একটু করে অনেক বেড়ে গিয়েছে , অর্ডার ছাড়াও কিছু ঠাকুর আমরা নিজে থেকে তৈরি করে রেখেছি, কারণ এই বছর টানা বৃষ্টির জন্য অনেকেই অর্ডার দিতে আসতে পারেনি, দামের দিক দিয়েও জানা গেল কুমারটুলি শিল্পীদের কাছে, মিনিমাম হাজার টাকা থেকে শুরু, এরপর আড়াই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার, দশ হাজার থেকে শুরু করে ২৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের ঠাকুর তৈরী হয়েছে যারা অর্ডার দিয়ে গেছেন।
কুমারটুলীতে যেকোনো প্রতিমার বিশেষত্ব হলো, বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্ট এর ঠাকুর পাওয়া যায়, এবং পছন্দসই।
পূজা উদ্যোক্তারা জানালেন, কুমারটুলীতে মনের মত ঠাকুর পাওয়া গেলেও প্রতিবছর প্রতিমা কিনতে এসে আমাদের বাজেট ছাড়িয়ে যায়।, আমরা যে ধরনের ঠাকুর এবং যে সাইজের ঠাকুর নেব বলে চিন্তা করে আসি, সেই ঠাকুরের দাম আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। যে ঠাকুর আগের বছর চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় কিনে নিয়ে গেছি, এই বছর সেই ঠাকুরের দাম সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা।। শুধু ঠাকুর নয় , সোলার জিনিস থেকে শুরু করে ফল, ফুল সবকিছুর দাম আগুন, তবুও আমাদের বংশ পরস্পরায় পূজো হয়ে আসছে, আমরা চেষ্টা করি নিজেদের সাধ্যের মধ্যে কোনোভাবে পুজোটা শেষ করার। বাড়ির মঙ্গল কামনার জন্য। এবং বৃষ্টির জন্য আমরা দুদিন আগে ঠাকুর নিতে এসেছি, কারণ নিয়ে গিয়ে বাড়িতে একটু সাজাতে হয়। কেউ কেউ জানালেন আমরা উলবেরিয়া, বারুইপুর, মধ্যমগ্রাম, দাসনগর, আমতলা থেকে এসেছি, আজ থেকে কুমারটুলীতে জমে উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের ভীড়।
ফলের দোকানে গিয়ে জানা গেল, শসা ৮০ টাকা থেকে একশ টাকা, আপেল ২০০ টাকা থেকে আড়াইশো টাকা, আঙুর ৩০০ টাকা, বেদানা ছোট সাইজ ২০০টাকা বড় আড়াইশো টাকা থেকে 300 টাকা, কলার ডজন ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা , নাশপাতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, একটি গোটা আখের দাম ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা। পুজোর ঘটের ডাব ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একটা কলাগাছ কুড়ি থেকে 25 টাকা।