জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
আজ বুধবার ২৭ আগস্ট ২০২৫ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত নজরুল বাংলা সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিতে এক অনন্য বিপ্লব ঘটান। কবিতা, গান, প্রবন্ধ, নাটক, উপন্যাস, গল্প, এমনকি চলচ্চিত্রেও রেখেছেন উজ্জ্বল উপস্থিতি। তিনি ছিলেন সাংবাদিক, গায়ক, সুরকার ও অভিনেতা—সবক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে ‘দুখু মিয়া’ নামেই পরিচিত ছিলেন নজরুল। তার বাবা কাজী ফকির আহমেদ এবং মা জাহেদা খাতুন। শোষিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রেম, সাম্য, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার সাহিত্যকর্মের মূল উপজীব্য।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে তাকে ঢাকায় আনা হয়। সরকার তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। বাংলা একাডেমি দিনব্যাপী সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিকেল ৪টায় একাডেমির শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নজরুল গবেষক অধ্যাপক ডঃ আনোয়ারুল হক। আলোচনায় অংশ নেবেন ডঃ সৈয়দা মোতাহেরা বানু ও কাজী নাসির মামুন। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করবেন টিটো মুন্সী এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করবেন ফেরদৌস আরা, শহীদ কবির পলাশ ও তানভীর আলম সজীব।
ঢাকাসহ সারাদেশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করছে। কবির কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।