1. info@dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগমির বাংলা : দৈনিক আগমির বাংলা
  2. info@www.dainikagamirbangla.online : দৈনিক আগামীর বাংলা :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক আগমির বাংলা" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
নারী নিগ্রহ বন্ধ ও ন্যায়বিচারের দাবীতে, ঐতিহাসিক ছাত্র শহীদ দিবসের- ছাত্র সমাবেশ ও মহামিছিল। স্মার্ট মিটার বাতিল ও ডিজিটাল মিটার ফিরিয়ে আনতে, লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সহ- রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন শ্রীপুরে সওজের উচ্ছেদ অভিযানে সার্ভেয়ারের ওপর জনতার হামলা। ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, কর্তৃক ময়মসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে গ্রেফতার ১৯ ফুলপুরে সিলিন্ডার বিক্রি দায়ে ৩ জনকে জরিমানা মেহেরপুরে জেলা বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত বাগান বিলাস” কবি- প্রভাষক সাবরীন সুলতানা কেশবপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় এক যুবক গ্রেফতার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির বোঝা নিয়ে যোগদান করতে যাচ্ছেন নতুন পিআইও ওসমানীনগরে

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

 বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির বোঝা নিয়ে যোগদান করতে যাচ্ছেন নতুন পিআইও ওসমানীনগরে

ওসমানীনগর প্রতিনিধি ::
পটুয়ালিখালি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সম্প্রতি বদলী হয়ে যোগদান করবেন ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এর আগে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২৮ আগস্ট এক অফিস আদেশে তাকে ওসমানীনগর বদলী করা হয়। এই কর্মকর্তার যোগদানের আগেই তার অথিত কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরিজীবনের শুরু থেকেই অভিযোগের পাহাড় বয়ে বেড়াচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বেপরোয়া কর্মকান্ড, অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তার পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পেয়ে নিয়মিত বদলি হয়ে নতুন-নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২৮ আগস্টের অফিস আদেশে তাকে সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই কর্মকর্তা চাকরিজীবন শুরু করেন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে ৯টি সেতুর মধ্যে ৫টি সেতুর কাজের বিল প্রদানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালসহ নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। পরে বিভাগীয় মামলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছর পদোন্নতিযোগ্য তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলে প্রজাতন্ত্রের নবীন কর্মকর্তা হিসেবে তিরস্কার করে সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখানে ছিলেন দীর্ঘ সময়। প্রায় আট বছর কর্মরত অবস্থায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। আশ্রয়ন প্রকল্পসহ উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টিআর কাবিখা প্রকল্পের টাকা নামে বেনামে উত্তোলনেরও অভিযোগ এই কর্মকর্তার। প্রকল্পের কাজ না করিয়ে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ প্রমানিত হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দুর্নীতির অভিযোগে পরে তাকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় বদলি করা হলেও সেখানেও ঘুষ দুর্নীতি, কমিশন গ্রহণ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালীর দুমকিতে বদলি হলে টিআর প্রকল্পের বিল ছাড় করতে ঘুষ দাবি করার অভিযোগে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ ছিলো- ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিল দিতে গিয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের স্বামীর কাছে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন মোহাম্মদ আলী। সেই অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে সিলেটের ওসমানীনগরে বদলি করা হয় বলে গুঞ্জুন উঠেছে।

 
এদিকে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার এসব অভিযোগ নিয়ে ওসমানীনগরে নতুন করে সৃষ্টি হয় আলোচনা সমালোচনা। এমন কর্মকর্তার পদায়ন হলে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় হয়ে দূর্নীতির আখরা এমন মন্তব্য স্থানীয়দের। স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সেবাগ্রহীতা জানান, এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত পিআইও ওসমানীনগরে পদায়ন হলে উপজেলার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

 
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনি এখনো যোগদান করেননি। তিনি জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাবনা কার্যালয়ে অধিনে যোগদান করবেন। কিছু আলোচনা সমালোচনা শুনা যাচ্ছে। দ্বায়িত্ব গ্রহন করলে এবং এই উপজেলায় কর্মরত থাকলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© দৈনিক আগমির বাংলা
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট