গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদের মঞ্চ ভেঙে দিলেন সেন্ট্রাল আর্মি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ।,
আজ ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার, বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল গান্ধী মূর্তির সামনে স্টেজ বেঁধে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলে, বিভিন্ন অর্গানাইজেশন ও সংস্থা এই মঞ্চে এসে প্রতিবাদ জানাতেন প্রতি শনি ও রবিবার।
আজ ঠিক দুপুর তিনটে নাগাদ সেন্ট্রাল আর্মি প্রায় ২০০ জনের মতো এসে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদের মঞ্চ ভেঙে দিলেন।
খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
তিনি জানান আমাদেরকে না জানিয়ে এবং পুলিশ ফোর্সকে না জানিয়ে, দিল্লির কথায় ও বিজেপির কথায় আমাদের মঞ্চ ভেঙে দেয়া হয়েছে। কোন রাস্তা জুড়ে মঞ্চ করিনি, শুধু তাই নয় আমাদের প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, মাইকের কানেকশনও কেটে দেয়া হয়েছে, এইভাবে না খুললেই পারতো, আমাদের পুলিশ ফোর্স কে, পুলিশ কমিশনারকে, কলকাতা ডিজিকে, এমনকি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বা আমাকে ফোন করে একবার বলতে পারতো, আমরা নিজেরাই এখান থেকে মঞ্চ সরিয়ে দিতাম। আমাদের সাথে তো ভালই সম্পর্ক রয়েছে, তবে এটা আর্মিদের কোন দোষ নাই বলেই জানালেন, কারণ তাদের অর্ডার মতো কাজ করতে হয়। তাই আমি আসার সময় দেখলাম প্রায় দুশোর মতো আর্মি ছুটে পালাচ্ছে, আমি মনে করি ওনাদের দোষ নয়, ওনাদের বলার আমার কিছু নাই। ওনারা অর্ডার মতো কাজ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানালেন তাহলে কি আমরা, গান্ধী মূর্তির সামনে, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে, রেড রোডে কি কোন অনুষ্ঠান করতে পারবোনা, দিনতো করে এসেছি, সমস্ত পারমিশন নিয়ে,
তিনি সাথে সাথে বলেন রাস্তাগুলো দেখে কে, পরিচর্যা করে কে, সুরক্ষা দেয় কারা,
আর আমরা যেখানে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ করছি, আর যাদের নিয়ে প্রতিবাদ করছি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দের বাংলা, তাই আমরা গান্ধী মূর্তির সামনে এই মঞ্চে প্রতিবাদ জানাতাম।
আজ এই মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন তাদের মঞ্চ ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিং, এসপ্ল্যানেড পাঁচ নম্বর মেট্রো সামনে তৈরি হবে, দায়িত্ব দেন মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মহানগরীক ফিরহাদ হাকিমকে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার সাথে সাথেই তাহারা পরিদর্শনে আসেন ডরিনা ক্রসিং এর সামনে, এবং পুলিশ প্রশাসনদের সাথে কথা বলে ওই স্থানেই মঞ্চ করার অনুমতি দেন, আগামীকাল থেকে এই ডরিনা ক্রসিং মঞ্চ তৈরি কাজ শুরু হবে, যে জায়গাটায় বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং থাকতো, এখান থেকে সেগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং পুলিশের গার্ডেন দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন পিডব্লিউডি এর অফিসারেরাও। এখানেই কাল থেকে শুরু হবে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মঞ্চ।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত