প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাকে নিয়ে কটুক্তি করায়, মহিলা মোর্চারা, মুখ্যমন্ত্রী ও রাহুল গান্ধীর কুশপুতুল পোড়ালেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার, ঠিক দুপুর আড়াই টায়, মুরলী ধর লেনের ভারতীয় জনতা পার্টি অফিসের সামনে, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সামিল হলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চারা। ত্রিত্ব দেন রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।
তাহারা আজ পার্টি অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে সেখানে একটি সভা করবেন বলে ঠিক করেন এবং সেই মতো পারমিশনও নেন, মঞ্চ বাঁধতেও শুরু করেন, সভা শেষে মিছিল করে যোগাযোগ ভবনের কাছে গিয়ে মিছিল শেষ করবেন, কিন্তু পারমিশন থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অফিসাররা তাদের মঞ্চ ভেঙে দেন।, পুলিশ প্রশাসনের অফিসাররা,, এতে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তবুও তারা সেই ভাঙ্গা মঞ্চের উপরেই শোভা করেন এবং পুলিশকে তিরস্কার করেন। বলেন আপনাদের কিছু করার থাকে করে নেবেন আমরা এখান থেকেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করব ও সভাও করবো। আপনারা তৃণমূলের ছাতা ধরা। চটি চাঠা। তাই তাহাদের কথায় উঠে বসেন। আমরা এতে ভয় পাই না।
আজকের এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, উপস্থিত ছিলেন লকেট চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মহিলার মোর্চার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাপস রায়, কুশল পান্ডে, তমগ্ন ঘোষ, সুবোধ, নারায়ণ চ্যাটার্জী সহ অন্যান্যরা
প্রায় সাড়ে তিনটে পর্যন্ত চলে ভাঙ্গা মঞ্চে প্রতিবাদ, তাদের একটাই বক্তব্য কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাকে কটুক্তি করা হলো, এতো বড় সাহস পায় কোথা থেকে, নরেন্দ্র মোদীর মা মানেই, আমাদেরও মা, একজনের স্বর্গীয় মাকে কেন রাজনীতিতে তুলে আনা হলো, এর জবাব মহুয়া মিত্র কে দিতে হবে, মন্ত্রী হয়ে এত বড় স্পর্ধা আছে কোথা থেকে, তাই আমরা মায়ের অপমান মানবো না, আর ছেড়েও কথা বলবো না, ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে বলুক, মহিলা মোর্চা বুঝিয়ে দেবে, তাই আজ আমরা মাঠে নেমেছি, অপমানের হিসাব নিতে। বদলা নিতে, একজন মহিলা হয়ে, মাতৃত্বের অপমান করেছে, এটা ভারত মায়ের অপমান ,আমরা মেনে নিতে পারব না। উনি কারপেটে জন্মেছেন, সেকি ওনার মা নয়, একজন শিক্ষিত হয়ে, আর শিক্ষার বড়াই করে আরেকজনের মাকে কটুক্তি করে। এর চাইতে বড় লজ্জার কি আছে,
আবার বলেছেন কাঠের তুলসীর মালা নিয়ে চলে আসুন লক্ষীর ভান্ডার নিতে বারোশো টাকা করে পেয়ে যাবে, আমরা বলতে চাই ভাতা কি ওনার বাপের, ভাতা দেয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, ক্ষমতা থাকলে এসে চোখে চোখ রেখে বলুন, আপনাকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারতীয় মহিলা মোর্চা।, আমি মতুয়া সম্প্রদায়ের একজন মহিলা, আর মতুয়া সম্প্রদায় থেকে বলছি, ক্ষমতা থাকলে সামনে আসুন, আপনি নাকি বিদেশে পড়েছেন, বিদেশে পড়লে কি এইসব শিক্ষা দেয়, বিদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কি এইরকম, যে মাকে তুলে ধরে কটুক্তি করে, আপনি কি একদম নির্লজ্জ সেটা আপনার শিক্ষাতেই পাওয়া গেছে, আপনাকে আমরা ছাড়বো না, আমাদের বৈষ্ণব সম্প্রদায় মতুয়া সম্প্রদায় ও সনাতনীদের আপনি অপমান করেছেন কাঠের মালা নিয়ে, আর মুখ্যমন্ত্রী কেউ হুঁশিয়ারী দিতে চাই, মেয়েদের চাকরি দিতে পারছেন না, রাস্তায় শিক্ষকরা বসে, শিক্ষকদের চাকরি যাচ্ছে, উপযুক্ত শিক্ষকরা পথে বসে, আর ঘুষখোর, টাকা চোর, মন্ত্রী বিধায়করা তাদের পরিবারের লোকেদের চাকরি দিয়েছে লজ্জা থাকা দরকার।, আজ এই মঞ্চ থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞা করছি এক একটা করে হিসাব নেবো,
বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে ও প্রতিবাদের মিছিল এগিয়ে যায় ঠিক যোগাযোগ ভ্রমণ এর কাছে, আর সাবধান করে দেন প্রশাসনের অফিসারদের, আপনারা আমাদের মিছিলের পাশ দিয়ে যদি যান চলাচল করিয়ে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে চান তার পরিণাম হবে ভয়ংকর।, আমরা ছেড়ে কথা বলবো না, আপনাদের কি বারবার সংযত করার কথা বলছি, মিছিল যোগাযোগ ভবনের কাছে শেষ হলে, সেখানে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীর কুশপুতুল দাহ করেন, এবং সংক্ষিপ্ত সভা করে প্রতিবাদ শেষ করেন।