“বাগান বিলাস”
কবি- প্রভাষক সাবরীন সুলতানা
————-++++++++++++————————
এক টুকরো ডাল কিংবা কলব,
কেটে এনে মাটিতে যত্নহীন ভাবে পুতে দিলেই,
সেই টুকরো ডাল অল্প দিনে,
তার শাখা-প্রশাখা গজিয়ে,
বাহারী সৌন্দর্যে হয়ে ওঠে,
এক পুর্নাঙ্গ গাছ,যার নাম হয় বাগান বিলাস।
যার সৌন্দর্য পুরো একটা বাগানকে,
অপরুপ সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলে,
হয়তো বাগানের অন্য ফুলেরাও
তাকে সর্বদাই করে থাকে জেলাস।
বাগান বিলাসের যত্নে কখনোই,
না দিতে হয় পানি,না কোনো শ্রম,
তবুও তার সৌন্দর্যে মানুষের চোখে,
এক পলকেই ধরে যায় রংধনুর ভ্রম।
অন্য ফুলেদের মতো নেই তার সু-ঘ্রান,
তবুও তার সৌন্দর্যে পুরো বাগান,
কিংবা বাসা, বাড়িকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে,
যাহা দেখলে, সকল মানুষের জুড়ায় মন-প্রাণ।
কিন্তু কি অবাক কান্ড! ঘ্রাণ নেই বলে,
তার এই অপার সৌন্দর্য নাকি মূল্যহীন,
সুগন্ধী ফুলেরা চড়া দামে বিক্রি হলেও,
গন্ধহীন এই ফুল আজীবন,
মালিকের বাগানকে সৌন্দর্য বর্ধন করে,
শোধ করে যেতে হয় তার ঋণ।
সংসার জগতে পৃথিবীর সকল নারী জাতি,
হলো একেকটা ফুটন্ত গোলাপ,
আর স্ত্রী হলো সংসারে বাগান বিলাসের মতো
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসে প্রতিটা স্ত্রী,
সংসারের গেরা কলে শত অবহেলায়, অযত্নে,
ভালোবাসার মায়াজালে পড়ে,
সন্তান নামক শাখা প্রশাখা গজায়,
পরিবারের সকলের যত্ন করতে করতে,
পরীর মতো মেয়েটাও হয়ে যায় মলিন বেজায়।
বাগান বিলাসের বর্ধিত সৌন্দর্য মানুষের চোখে পড়লেও,
স্ত্রীর সৌন্দর্য বিলীন হওয়া মুখটা স্বামীর বড্ড অগোচর,
জীবন শেষে একজন স্ত্রী ফেলে দীর্ঘ শ্বাস,
এজন্যই কবি,স্ত্রীদেরকে নাম দিয়েছে বাগান বিলাস।