স্মার্ট মিটার বাতিল ও ডিজিটাল মিটার ফিরিয়ে আনতে, লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সহ- রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, কলকাতার কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগরের মুর্তির সামনে, অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহবানে, বিভিন্ন জেলার কয়েকশো বিদ্যুৎ গ্রাহক , স্বাক্ষর সংগ্রহ সহ জমায়েত হন, রাজ্যপালের নিকট স্বাক্ষর সহ মিছিল সহকারে ডেপুটেশন দিতে,
এই মিছিলে সভাপতিত্য করেন, সভাপতি অনুকূল ভদ্র , সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস সহ অন্যান্য জেলার নেতৃত্বরা।
বিদ্যুতের স্মর্ট মিটার, বর্ধিত ফিক্সড ও মিনিমাম চার্জ প্রত্যাহারের দাবিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর নিয়ে তারা আজ বেলা দেড়টা নাগাদ, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে এসেন ব্যানার্জি রোড ধরে, ধর্মতলা হয়ে রানী রাসমণি রোডে উপস্থিত হন এবং সেখান থেকে তারা রাজ্যপালের নিকট লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সহ ডেপুটেশন দেন।
তাহাদের দাবী —- অবিলম্বে স্মার্ট মিটার খুলে পুরানো মিটার ফিরিয়ে দিতে হবে।
কেন্দ্রের স্মার্ট মিটার লাগানোর- আর ডি এসএস স্কিম বাতিল করতে হবে।
বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণ ব্যবসায়ী করন চলবে না।
ফিক্সড চার্জ ,মিনিমাম চার্জ সহ অন্যায় ভাবে বিভিন্ন সার চার্জ বন্ধ করতে হবে।
স্মার্ট মিটার খুলে, ডিজিটাল মিটার ফিরিয়ে দিতে হবে।
বিদ্যুৎ ৫০ শতাংশ কমাতে হবে।
ক্ষুদ্র শিল্প ও ক্ষুদ্র চাষ ধ্বংস করার চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।
বিদ্যুৎ মাশুল কমিয়ে, কৃষি ও শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে, বেকার সমস্যার সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
গ্রাহকের কস্টার্জিত টাকা লুটের যন্ত্র, স্মার্ট মিটার বাতিল করতে হবে।
মিথ্যা অজুহাতে সি ই এস সি র দুই বছরের বকে আদায়ের আবেদন ,রাজ্যে ই আর সি বাতিল করতে হবে।
তারা বলেন বেসরকারিকরণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যে স্কীমের মাধ্যমে এই টাকা লুটের যন্ত্র বসানো হচ্ছিল, সেই আর ডি এস এস স্কীম প্রত্যাহার করা হয়নি, ফলে সারা দেশব্যাপী বিদ্যুৎ গ্রাহক আন্দোলন সমস্ত রাজ্যেই তীব্র হয়েছে , এই স্মার্ট মিটার পুরোপুরি গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী।। তাহারা আরো বলেন, দেশের একচেটিয়া বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী -গোয়েঙ্কা, টাটা, জিন্দাল, আদানি ,আম্বানিদের সর্বোচ্চ মুনাফা লুট করার স্বার্থেই এই মিটার লাগানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না। তাহাদেরকে বোকা বানানো হচ্ছে, এর সাথে সাথে বিশেষ করে ক্ষুদ্র শিল্পে মিনিমাম চার্জ প্রতি কেভিএ তে প্রতি মাসে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করার ফলে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে।
দমকল, হাস্কিকিং মিল, ছোট ছোট গ্রিলের কারখানা , লেদে কারখানা প্রায় বন্ধ, তাঁত শিল্প, এমব্রয়ডারী শিল্প ধুঁকছে। সিইএসসির এলাকায় এফপিপিএস নামে সার চার্জ আদায় করা হচ্ছে অন্যায় ভাবে।। এই সকলের প্রতিবাদে তারা আজ লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সহ রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিলেন , যদি গ্রাহকদের দাবী না মেটে ,তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন। এবং গ্রাহকদের কেউ বারবার সাবধান করে দিলেন।