পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে---বাংলার তাঁতের হাটের শুভ সূচনা হলো।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, ঐতিহ্যমন্ডিত বাংলার তাঁত শিল্পীদের সৃষ্টির সম্ভার - বাংলার তাঁতের হাটে- এর শুভ সূচনা করলেন ৪ঠা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, কলকাতার বইমেলা প্রাঙ্গণ, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা গ্রাউন্ডে। বিধান নগর।
বাংলার তাঁতের হাটের মেলা চলবে, ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে একুশে সেপ্টেম্বর, প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত , এই মেলায় বিভিন্ন জেলার তাঁত শিল্পীদের হাতের তৈরী তাঁত শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে।
এই মেলার শুভ সূচনা করেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে, মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ও অগ্নি নির্বাপন মন্ত্রী শ্রী সুজিত বোস। সভাপতিত্ব করেন মাননীয় মন্ত্রী ক্ষুদ্র , ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের শ্রী চন্দ্রনাথ সিংহ , সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর শ্রী বিপ্লব মিত্র, উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, উপস্থিত ছিলেন মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তর তাজমুল হোসেন । উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মহানাগরীক বিধাননগর পৌরসভার শ্রীমতি কৃষ্ণা চক্রবর্তী, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তর শ্রী রাজেশ পান্ডে আইএএস সহ অন্যান্য সম্মানীয় অতিথিরা।
শুভ সূচনার পর সকল অতিথিদের উত্তরীয় ও ব্যাচ পরিয়ে হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন, এরপর সকলে মেলা পরিদর্শন করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মানীয় অতিথিরা বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই তাঁত শিল্প একটু একটু করে যেমন এগিয়ে চলেছে তেমনি বহু কর্মসংস্থানের জায়গা করে দিয়েছে। এবং আশা করা যায় আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে, তাহার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছেন।, জাতে বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে, তাঁত ও কুটির শিল্পকে আরো উন্নতি করা যায়, কুটির ও তাঁত শিল্পীরা এই কাজ করে যাতে নিজেদের উপার্জন করতে পারে এবং নিজেদেরকে একটা জায়গায় আনতে পারে তাহার জন্য সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবং যে সকল অসুবিধে রয়েছে এগুলো স্বল্প করার ব্যবস্থা করছেন,
শিল্পের মাধ্যমে ভারতবর্ষের বাজারে এবং ভারতবর্ষের বাইরে যে বিরাট বাজার আছে, সেখানে বাংলার থেকে সুযোগ নেওয়া সম্ভব হবে , যারা এর সাথে যুক্ত আছেন। তাহলে একদিন বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ আসবে।
আজকে তাঁত শিল্পীরা, বালুচড়ি, ধোনেখালি, জামদানী, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল জামদানী, মুসলিন, শান্তিপুরী, বেগমপুরী ও গরদের শাড়ি তৈরি করতে পারছেন এবং রাজ্যের হস্ত তাঁত বস্ত্র, অন্যান্য বৈচিত্রের কিছু নিদর্শন তারা এই মেলায় তুলে ধরেছেন। মেলাতে হাজির হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন তাঁত শিল্পীর হাতে তৈরি রংবেরঙের শাড়ি। তবে সরকারের তরফ থেকে আশা করছেন পুজোর আগে এই ধরনের একটি মেলা উপহার দেওয়ায়, তাঁত শিল্পীদের বিক্রি বাড়তে পারে, এবং মেলা জমে উঠবে আশা করা যায়।
এই সকল শিল্প কোথায় কিভাবে প্রশিক্ষণ দেন তাহার কিছুটা তথ্য তুলে ধরেছেন।
বালুচরীদের জন্য বয়ন নকশা বিপণন এবং প্যাকেজিং সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ চলছে বাঁকুড়া জেলায়।
স্টেট ডিজাইন কেন্দ্র - তন্তু যের কার্যালয় সল্টলেকে নতুন ডিজাইনের উদ্ভাবন করছে।
কুমারগ্রামে এরি স্নিক ব্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে আলিপুরদুয়ারের ৩৫০ জন তাঁতির কর্মসংস্থান হচ্ছে, এছাড়াও ৫০ জন তাঁতিকে সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান।
৪৩১ জন তাঁতিকে পশ্চিমবঙ্গ হ্যান্ডলুম ও খাদি তন্তুবায় বেনিফিট স্কিমের আওতায় তাঁত মেরামতের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় বলে জানান।
ভাবি রাজ্য সরকার একের পর এক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে মহিলাদের কুটির ও তাঁত শিল্পে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন, যাহাতে মহিলাদের তৈরি তাঁত শিল্প দেশ-বিদেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।
সাংবাদিক মোঃ মিন্টু মিয়া কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত