স্কুল টিচার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার, ত্রি-বার্ষিকী সর্বভারতীয় সম্মেলন ও প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১০ই আগস্ট রবিবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, কলকাতা রানী রাসমণি রোডের সংযোগ স্থলে, এ বি টি এ ও এ বি পি টি এ আয়োজিত এবং এস টি এফ আই এর উদ্যোগে, ত্রি- বার্ষিকী সর্বভারতীয় সম্মেলন ও প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এস টি এফ আই এর উদ্যোগে এবং এ বি টি এ ও এ বি পি টি এ আয়োজনে এই সর্বভারতীয় সম্মেলন শুরু হয় মহাজাতি সদনে ৮ই আগস্ট ও ৯ আগস্ট, এবং ১০ ই আগস্ট প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, সমস্ত অতিথি ও টিচার্স দের উপস্থিতিতে। আজ একটি মাস র্যালির আয়োজন করা হলেও কোন কারণে সেটি বাতিল করা হয়। সরাসরি সমাবেশে উপস্থিত হন সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা, এই তিন দিন যাবৎ সমস্ত জেলার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন ও সমাবেশে।
আজকের প্রকাশ্য সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন কমরেড মহম্মদ সেলিম, কমরেড সৃজন চক্রবর্তী, সুকুমার পাইন, সি এন ভারতী, কে সি হরি কিষাণ, প্রকাশ মহান্তি, কে রাজেন্দ্রন, ধ্রুব শেখর মন্ডল, রবি চাডহা সহ অন্যান্যরা,
সমাবেশ শুরু হয় গণ সংগীত ও অতিথিদের বরণ করার মধ্য দিয়ে। সিলভার জুবলি ও অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স সকলের কাছে সাকসেস ফুল হয়ে উঠেছে, সকল লিডার ,ওয়ার্কার, টিচিং ও নন টিচিং স্টাফদের উপস্থিতিতে,
আজকের সমাবেশে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে, যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করার চেষ্টা করেছেন, এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, আমরা তা হতে দেব না, দরকার পড়লে পাড়ায় পাড়ায় আন্দোলন করবো সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে এমনকি পাড়ায় পাড়ায় যে সকল স্কুল বিদ্যালয় রয়েছে সেই সকল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সাথে নিয়ে, শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতিতে ভর্তি হয়ে গেছে, টাকা দিয়ে চাকরি চুরি হচ্ছে, ২৬,০০০ শিক্ষক আজ পথে বসে, যাদের স্কুলে থাকার কথা,
সভায় আরো বলেন, ভবিষ্যতে শ্রমিক পরিবারের, কৃষক পরিবারের ,কলোনীর পরিবারের ছেলে মেয়েরা যাতে শিক্ষিত না হতে পারে ,পড়াশোনা করতে না পারে , মূর্খ হয়ে থাকতে পারে সরকার সেই চিন্তাই করেছেন তাই স্কুল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্কুলকে প্রাইভেটের হাতে তুলে দেয়ার ফন্দি এঁটেছেন,
২০০৯ সালে আইন আদায় করে এনে দিয়েছিল রাইট টু এডুকেশন, শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ আজ ধুলিস্যাৎ হতে চলেছে,
যে দেশ বিদ্যাসাগরের বাংলা, রবীন্দ্রনাথের বাংলা, নজরুলের বাংলা, সেই বাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, আই যদি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত না থাকতো আমরাও হয়তো এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না, সরকার শিক্ষাকে নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে, ফিরিয়ে নিতে চাইছে শিক্ষা সংস্কৃতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
তাই আমরা আজ এখান থেকে শপথ নেব, শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখার , দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায় গর্জে উঠবো স্কুলের ছেলেমেয়েদের অভিভাবকদের নিয়ে, প্রতিবাদ করব শিক্ষাব্যবস্থা না উঠে, শিক্ষা আমাদের অধিকার, শিক্ষা আমাদের বাংলার সংস্কৃতি, তাই আর নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে গর্জে উঠে শিক্ষকরা,
ধ্বংস হয়ে যাতে না যায় শিক্ষা ব্যবস্থা, ছোট ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ, আমরাই ওদের কারিগর, তাই আমাদেরই উচিত সবাইকে নিয়ে এগিয়ে আসা, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস না হতে দেওয়া, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের এই অমানবিক আইন ও ব্যবস্থাকে রুখে দিই।
যাতে সাধারণ ঘরের ছেলে মেয়েরা ও তার পরিবারেরা মানুষ করতে পারে তাদের ছেলে মেয়েদের, ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে, আর নয় এসো সবাই শপথ নিই, গর্জে উঠি সবাই মিলে, সরকারি স্কুল ও বিদ্যালয়গুলিকে রক্ষা করি,