কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একশতম জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হলো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১৬ই আগস্ট শনিবার।, দুপুর দুটোয়, কিশোর বাহিনীর পরিচালনায়, এবং পীযুষ ধর এর উদ্যোগে, শিয়ালদা স্টেশন থেকে কলেজ স্ট্রিট কিশলয় পর্যন্ত, এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ১০০তম জন্ম শতবার্ষিকী পালন করলেন,
এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, উদ্যোক্তা পীযূষ ধর, আব্দুল রুফ, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, মাইতি সহ অন্যান্যরা,
বিভিন্ন জেলা থেকে, কয়েকশো কিশোরবাহিনী সদস্যরা উপস্থিত হন শিয়ালদা স্টেশনে, এবং ছোট ছোট শিশুরাও উপস্থিত হয়েছেন কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য এবং পায়ে পা মিলিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাকে আলোকিত করার জন্য। এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য, সাধারণ মানুষ রাস্তার ধারে অপেক্ষা করতে থাকেন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়, উপস্থিত হন নৃত্যশিল্পী থেকে শুরু করে ম্যাজিশিয়ানরা ও লাঠি আলরা। সুন্দর নৃত্য, ম্যাজিক ও লাঠি খেলার মধ্যে দিয়ে বন্যার শোভাযাত্রা আস্তে আস্তে কলেজ স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যায়।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছানোর পর, সেখানে একটি চিত্রাংকনের আয়োজন করা হয়, এছাড়াও নৃত্য সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলে বিকেল চারটে পর্যন্ত।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৩৩ সালে ৩১শে শ্রাবণ।, কালীঘাট অঞ্চলের ৪২ নম্বর মহিম হালদার স্ট্রিটের বাড়ির দোতলায়, একটি ছোট্ট ঘরে নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্যের দ্বিতীয় স্ত্রী সুনীতির দ্বিতীয় পুত্র সুকান্ত কে নিয়ে বসবাস। পূর্বপুরুষ ছিল পূর্বাঙ্গের, প্রথমে তাদের বসবাস ছিল ফরিদপুরের কোটালীপাড়ায়, তাহার পর কয়েক পুরুষ এসে বাস করে মাদারিপুরে,
কবি সুকান্তের বাবা ও জ্যাঠামশাই বিখ্যাত পন্ডিত কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতি তীর্থের শৈশব কাল কেটেছে অত্যন্ত দরিদ্রদের মধ্যে। এর কারণ হলো সুকান্তের পিতামহ জগচন্দ্রের অকাল মৃত্যু।
এই দুরবস্থার মধ্য দিয়েই পিতামহি তার অসাধারণ মনো বলে সাহায্যে মানুষ করতে থাকেন তার নাবালক সন্তান দুটিকে, সেই সময় ছোট ভাইকে রেখে ১৩ বছর বয়সে গ্রাম ছেড়ে জননীর ছায়া পিছনে রেখে, সংস্কৃত পাঠ গ্রহণের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণচন্দ্র হাজির হয়েছিলেন বিক্রমপুরে। সেখানকার প্রার্থেশ করে ঢাকা ও কলকাতা থেকে উপাধি অর্জন করেছিলেন তিনি। মাত্র 21 বছর বয়সে, বিশেষ জরায়ু রোগে বিদায় নিতে হয়েছিল সুকান্ত ভট্টাচার্যকে, কিন্তু কবিত তাহার কবিতা, স্মরণ করিয়ে রাখে, আজকের দিনটিকে,
বিভিন্ন ছড়া লিখে শিশু কবি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সুকান্তের শৈশবের আরেকটি রচনা প্রিয় ছিল,তিনি একটি গান লিখেছিলেন,…… তোমার মহিমা কত কবো আর , এইখানে গান শেষ আমার,
কবি চলে গেলেও ভুলেনি তাহাকে এই কিশোর বাহিনী, তাই জেলায় গড়ে তুলেছে তাহাদের সংগঠন, প্রশিক্ষণ ও কর্মকাণ্ড, তারা চেয়েছেন কবি সুকান্তের মতো, এই ছোট ছোট শিশুরা হয়ে উঠুক তাহার অনুপ্রেরণা নিয়ে।